Sunday, May 19, 2024
- Advertisment -spot_img

লোক নেই, অর্থ নেই,তাই ব্যবহার করার জন্য তৃনমূলের হাতে দলীয় কার্যালয় তুলে দিল কেশপুর ব্লকের তেঘরির এক সিপিএম নেতা

  1. নিজস্ব প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর: দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই প্রথম রাজ্য বিধানসভায় বামেদের কোনো প্রতিনিধি নেই । যারা ৩৪ বছর একটানা বাংলাকে শাসন করেছে তাদের এই দুরবস্থা নিয়ে এখন রাজ্য জুড়ে বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে ।সদ্য বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের পরাজয় হয়েছে তাই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার একসময়ের লাল দুর্গ কেশপুর ব্লকে ও বামেরা একেবারে কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছে। ঠিক সেই মুহুর্তে কেশপুর ব্লক এর সিপিএমের তেঘরী লোকাল কমিটির কার্যালয়টি তৃণমূল কংগ্রেসকে ব্যবহার করার জন্য লিখিতভাবে তুলে দিলেন সিপিএমের তেঘরি লোকাল কমিটির সদস্য শীতল চন্দ্র পাল। তিনি বলেন লোকজন নেই, অর্থ নেই, এই পার্টি অফিস রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অনেক অর্থের প্রয়োজন। যখন লোকজন নেই অর্থ নেই তখন এই দোতলা পাকার পার্টি অফিস রেখে চালানো সম্ভব নয়। তাই এই পার্টি অফিসটি তৃণমূল কংগ্রেসকে ব্যবহার করার জন্য জন্য দিয়ে দিয়েছি । ওদের লোকজন আছে অর্থ আছে ওরা এই অফিস টিকে রক্ষা করতে পারবে । তিনি আরো বলেন যে যদি ব্যবহার করা না হয় তাহলে পার্টি অফিসটি নষ্ট হয়ে যাবে। তাই সবদিক চিন্তা ভাবনা করে লিখিতভাবে স্বেচ্ছায় তৃণমূল কংগ্রেসকে এই পার্টি অফিসটি ব্যবহার করার জন্য দিয়ে দিয়েছি। আশা করি তৃণমূল কংগ্রেস এই পার্টি অফিসটি কে ভালো রাখবে।তাই শনিবার থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লক এর সিপিএমের তেঘরি কার্যালয়টি তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয় হিসেবে পরিচিত হয়েছে। সিপিএমের ঝান্ডা খুলে লাগানো হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের ঝান্ডা। তাই শনিবার থেকেই চকচকে দোতলা পাকা বাড়ির সিপিএম দলের পাটি অফিস টি রক্ষা করার দায়িত্ব নিয়েছে তৃণমূলের নেতা ও কর্মীরা। কংগ্রেসের কেশপুর ব্লক কমিটির সভাপতি উত্তমানন্দ ত্রিপাঠি বলেন ওই এলাকায় সিপিএমের লোকজন নেই। তাই পার্টি অফিসটি তে বোসার মত কেউ ছিলনা ।সেই জন্যে সিপিএম নেতা শীতল চন্দ্র পাল লিখিতভাবে পার্টি অফিস টিকে ব্যবহার করার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসকে দিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা শনিবার থেকে ওই অফিসের কাজকর্ম শুরু করেছে। তবে ওই বিষয় নিয়ে জানার জন্য সিপিএমের জেলা সম্পাদক তরুণ রায় এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা যায়।একসময় সিপিএমের শক্ত দুর্গ ছিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লক এর অন্তর্গত আনন্দপুর থানার তেঘরি এলাকা।সেই সময়
    সিপিএম নেতাদের কথায় বাঘ গরু এক ঘাটে জল খেতো। এখন সেই সিপিএম দলের নেতা তাদের দলীয় কার্যালয় তৃণমূল কংগ্রেসকে ব্যবহারের জন্য তুলে দেওয়ায় রীতিমত অবাক হয়েছেন ওইএলাকার বাসিন্দারা।
RELATED ARTICLES

कोई जवाब दें

कृपया अपनी टिप्पणी दर्ज करें!
कृपया अपना नाम यहाँ दर्ज करें

spot_img

Most Popular

Recent Comments