Monday, May 13, 2024
- Advertisment -spot_img

এক নজরে ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুর

 

 ঝাড়গ্রাম                       

ঝাড়গ্রামের মানিকপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত ও আমডিহা শিশু উদ্যান এর উদ্যোগে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন

২০২০ সালের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের স্লোগান ছিল ‘জীববৈচিত্র্য’ । আর ২০২১ এর বিশ্ব পরিবেশ দিবসের স্লোগান ‘বাস্তুতন্ত্রের পুনুরুদ্ধার করা'(Ecosystem Restoration)। তাই শনিবার ঝাড়গ্রাম জেলার ঝাড়গ্রাম ব্লকের মানিকপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত ও আমডিহা শিশু উদ্যান কমিটির উদ্যোগে বিশ্ব পরিবেশ দিবসে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। আমডিহা শিশু উদ্যানে এবং পাশ্ববর্তী এলাকায় ২০০ টির অধিক বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানো হয়। বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচীর সূচনা করেন মানিকপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান মহাশীষ মাহাতো। ওই এলাকার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে বিশিষ্টজনদের পাশাপাশি মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে করোনা পরিস্থিতির জন্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই শনিবার বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল ।মানিকপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মহাসীশ মাহাতো বলেন,”বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আমাদের শ্লোগান গাছ লাগান প্রাণ বাঁচান। এই সময়ে দাঁড়িয়ে প্রতিটি মানুষের উচিত একটি করে গাছ লাগানোর।” তাই তিনি ওই এলাকার প্রতিটি মানুষকে গাছ লাগানোর জন্য আহ্বান জানান ।সেই সঙ্গে সেই গাছকে বড় করে তোলার জন্য যত্ন করার ও আহ্বান জানান।

 ঝাড়গ্রাম                   

ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের কুলটিকরির পাটাশোলে পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে নানা কর্মসূচি

সাঁকরাইল ব্লকের কুলটিকরির পাটাশোলে পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে নানা কর্মসূচি। শনিবার বিশ্বপরিবেশ দিবস উপলক্ষে ঝাড়গ্রাম জেলার কুলটিকরির পাটাশোল মাঠে অনুষ্ঠিত হলো নানা কর্মসূচি। এদিন বৃক্ষরোপন কর্মসূচির পাশাপাশি ভেষজ উদ্যানের সূচনা,পরিবেশ সচেতনতা মূলক আলোচনা শিবির অনুষ্ঠিত হয়। কুলটিকরি এস সি হাইস্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক গৌর সাধন দাস চক্রবর্তী, সুবীর কুমার মন্ডল, সর্বেশ্বর মহাপাত্র এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় হয়। এদিন প্রায় ১২০টি গাছের চারা লাগানো হয়,যার মধ্যে বেশিরভাগই ভেষজ উদ্ভিদ। এদিনের অনুষ্ঠানে কড়িয়াশোল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শমীক পাত্র তাঁর মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষ্যে ৫০ জন শিশুকে কিছু টিফিন খাওয়ালেন ও চারা গাছ রোপন করলেন। এলাকার বিশিষ্ট শিক্ষক সুজয় পাত্রও এদিন তাঁর ছেলের জন্মদিন উপলক্ষে শিশুদের মধ্যে কিছু চকলেট বিলি করেন এবং কয়েকটি চারাগাছ রোপন করেন। উল্লেখ্য পরিবেশপ্রেমী শিক্ষক গৌর বাবুর উদ্যোগে প্রায় তিন বছর আগে আর্থ কেয়ার এন্ড সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন নামের এই সংস্থাটি গঠিত হয়। মূলত পরিবেশ নিয়ে কাজ করা এই অরাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনটি এর আগেও প্রায় হাজার দুয়েক গাছ এই এলাকায় রোপন করেছে এবং সারা বছরই তার রক্ষণাবেক্ষণ করে। পাশাপাশি পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীদের জন্য বিকেলে একটি পাঠশালাও স্থাপন করেছে। আজকের এই অনুষ্ঠানটি পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের সাঁকরাইল কেন্দ্র, সুবর্ণরৈখিক ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চার গ্রূপ “আমারকার ভাষা আমারকার গর্ব ” প্রভৃতি সংস্থার সম্মিলিত উদ্যোগে আয়োজিত হলো। আজকের দিনের প্রাসঙ্গিকতা উপলক্ষে বলতে গিয়ে গৌর বাবু সাধারণ মানুষকে আরও বেশি করে গাছ লাগানোর জন্য এগিয়ে আসতে অনুরোধ করেছেন। সামনের বৃষ্টির মরসুমে এই ভেষজ উদ্যানে ৩০ টি প্রজাতির ৮০০ টি ভেষজ উদ্ভিদ লাগানো হবে। সমাজের যেকোনো ব্যক্তি যেকোনো উপলক্ষ্যে এখানে বনসৃজন কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারেন। নূন্যতম একটি রক্ষণাবেক্ষন খরচ এর বিনিময়ে পৃথিবীর সামান্য অংশ যাতে আরো সবুজ আরো বিশুদ্ধ হয়ে উঠতে পারে সেই উদ্দেশ্যে ই কতিপয় পরিবেশপ্রেমীর এই উদ্যোগ। এই কর্মসূচিকে রূপায়িত করতে এগিয়ে এসেছেন পরিবেশপ্রেমী মানুষ ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।

 ঝাড়গ্রাম                  

দাঁতাল হাতির উপদ্রবে জেরবার ঝাড়গ্রাম

একে করোনায় রক্ষে নেই, লকডাউন দোসর। আবার, গোদের ওপর বিষফোঁড়া দাঁতাল হাতির উপদ্রব। চরম দুর্দশার ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষ। জানা গেছে শনিবার ঝাড়গ্রামের শালবনি এলাকায় গ্রামের মধ্যে প্রবেশ করেছে দলছুট দাঁতাল হাতি। এই ঘটনা একেবারে নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে উঠেছে ওই এলাকার মানুষদের কাছে। তবে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে তারা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বনদপ্তরকে বিষয়টি জানিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি। বনদপ্তর থেকে কোনোরূপ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। ক্রমেই মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। ঠিক অপরদিকে ঝাড়গ্রামের লালগড়ের বাঁশপাড়া এলাকায়ও প্রবেশ করেছে প্রায় ৩০ টি হাতির দল। প্রায় আধঘন্টা রাস্তা অবরোধ করে হাতি দল গুলো দাঁড়িয়ে থাকায় অসুবিধার মধ্যে পড়ে সাধারণ মানুষ। এক কথায় হাতির উপদ্রবে অতিষ্ঠ ঝাড়গ্রামের মানুষ। চাষের ফসল থেকে শুরু করে বাড়ি ঘর কোন কিছুই ভাঙতে বাদ রাখছে না হাতির দল। সমগ্র ঝাড়গ্রাম জেলা ভীষণ দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। এই উপদ্রপ এর হাত থেকে দ্রুত নিষ্পত্তি চায় তারা।

 পশ্চিম মেদিনীপুর                

মেদিনীপুরে রেড ভলান্টিয়ারদের পাশে শিল্পীরা, শিক্ষকরা 

কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের যখন গোটা দেশ কম্পমান,তখন গোটা বাংলা জুড়ে বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াতে ছুটে বেড়াচ্ছেন বামপন্থী ছাত্র-যুবদের নেতৃত্বাধীন রেড ভলান্টিয়াররা। মেদিনীপুর শহর সহ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন অংশেও কাজ করছেন রেড ভলান্টিয়াররা। এবার মেদিনীপুর শহরের রেড ভলান্টিয়ারদের পাশে দাঁড়িয়ে এগিয়ে এলেন শিল্পীরা এবং শিক্ষকরা। শনিবার মেদিনীপুর শহর রেড ভলেন্টিয়ার দের হাতে ভারতীয় গণনাট্য সংঘের মেদিনীপুরের ক্রান্তিক শাখার পক্ষ থেকে সুরক্ষা ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী হিসেবে প্রায় সতেরো হাজার টাকা মূল্যের পিপি কিট, স্যানিটাইজার, ফেস শিল্ড, সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড, হাইড্রোজেন-পার -আক্সাইড সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। অলিগঞ্জে সিপিআইএম মেদিনীপুর শহর পূর্ব এরিয়া কমিটির অফিস প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক ঘরোয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক তরুণ রায়, কীর্তি দে বক্সী, সুকুমার আচার্য প্রমুখ সিপিআইএম নেতৃত্ব।এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন গণনাট্য সংঘের জেলা সম্পাদক জয়ন্ত চক্রবর্তী, জেলা সহ সম্পাদক রবি বসু। গণনাট্য সংঘের ক্রান্তিক শাখার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সুদীপ রায়,মোম চক্রবর্তী, প্রবীর দেবনাথ, দীপঙ্কর শীট, অংশুলা কর সহ অন্যান্যরা। অন্যদিকে এদিনই শিক্ষক সংগঠন এবিটিএ-এর কেশপুর আঞ্চলিক শাখার পক্ষ থেকে এবিটিএ জেলা অফিসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রেড ভলান্টিয়ারদের হাতে একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি শুক্রবার বিকেলে এবিটিএ মেদিনীপুর গ্রামীণ জোনাল কমিটির অন্তর্গত এবিটিএ গুড়গুড়িপাল হাইস্কুল ইউনিটের পক্ষ থেকে রেড ভলেন্টিয়ারদের হাতে একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার তুলে দেওয়া হয়। শিক্ষকদের এই দুই কর্মসূচিতে বিভিন্ন সময় উপস্থিত ছিলেন গুড়গুড়িপাল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক গৌতম ভৌমিক, এবিটিএ জেলা সম্পাদক বিপদতারণ ঘোষ, মহাকুমা সম্পাদক জগন্নাথ খান,এবিটিএ নেতৃত্ব সুরেশ‌ পড়িয়া,শক্তিপ্রসাদ মিত্র, বিষ্ণুপদ দে,পল্লব সরকার, গৌরীশংকর সাহু,শ্যামল ঘোষ,প্রণব হড় সহ অন্যান্যরা

 পশ্চিম মেদিনীপুর               

বিশ্ব পরিবেশ দিবসে চারাগাছ বিলি করল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অপরাজেয়

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে পরিবেশ সচেতনতার বার্তা দিয়ে চারাগাছ বিলি করল মেদিনীপুরের “অপরাজেয়” স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নারায়ণগড় ব্লকের ছয় নম্বর অঞ্চলের পোলসিটা গ্রামের দুই শতাধিক পরিবারের হাতে চারাগাছ,মাস্ক-স্যানিটাইজার তুলে দেন তারা । ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ অর্জুন দাস ও রাজকুমার রানা, সদস্য অভি কোলে, সুশান্ত জানা প্রমুখ। এছাড়াও এলাকাবাসীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় গ্রামপঞ্চায়েত সদস্য তপন পাত্র, এলাকার শিক্ষক যুগল বেরা, অরুণ সিং, কালিপদ পাত্র প্রমুখ। এদিন সকালে মেদিনীপুর থেকে টোটোতে করে ২০০ চারাগাছ নিয়ে অপরাজেয়র সদস্যরা নারায়ণগড় ব্লকের এই গ্রামে পৌঁছান। গ্রামের মানুষজনদের তারা বর্তমান সময়ে বৃক্ষরোপনের উপযোগিতা ও পানীয় জল অপচয় রোধে সচেতনতার বার্তা দেন, পাশাপাশি করোনা সচেতনতার বার্তা দিয়ে গ্রামবাসীদের চারাগাছ সহ অন্যান্য সচেতনতামূলক জিনিসপত্র তুলে দেন। পরে তারা স্থানীয় পোলসিটা প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গন, শিশুশিক্ষা কেন্দ্র প্রাঙ্গণ, বিবেকানন্দ সংঘের বাগানে গিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ স্থানীয় মানুষজনদের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতায় বেশ কিছু চারাগাছ রোপণ করেন অপরাজেয় সংস্থার সদস্যরা। সংগঠনের পক্ষে কাঞ্চন ঘড়া ও চিত্ততোষ পইড়া এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন,”সারাবছর ব্যাপী পরিবেশ সচেতনতা সহ দু:স্থ, অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর দায়বদ্ধতা থেকেই আমরা মানুষজনের পাশে দাঁড়ালাম। আগামী দিনেও আমাদের সংগঠন মানুষের অসহায় মুহূর্তে তাদের পাশে সাধ্যমত দাঁড়াবে।”

RELATED ARTICLES

कोई जवाब दें

कृपया अपनी टिप्पणी दर्ज करें!
कृपया अपना नाम यहाँ दर्ज करें

spot_img

Most Popular

Recent Comments