Friday, May 17, 2024
- Advertisment -spot_img

প্রতিশ্রুতি দিয়েও কথা রাখলো না বিজেপি সাংসদ, ঝাড়গ্রামের ক্যানসার আক্রান্ত কিশোরের পাশে দাঁড়ালেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা

নিজস্ব প্রতিবেদন, ঝাড়গ্রাম: নিজের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করে সমাজের কাছে নিজের মানবিকতার মারফত অনেক উঁচুতে নিজের স্থান দখল করলেন রাজ্যের বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা (Birbaha Hansda)। লালগড়ের (Lalghor) ক্যান্সার (Censer) আক্রান্ত ছাত্র সুশান্ত বেজ (Susanta Bej) নামক ওই কিশোরের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন মন্ত্রী।

নিজস্ব চিত্র
                                          নিজস্ব চিত্র                                             

এবং বৃহস্পতিবার সেই কথা মতোই নিজের উদ্যোগে সুশান্ত কে নিয়েই ঝাড়গ্রাম (Jhargram) থেকে চলে আসেন কলকাতা (Kolkata) চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে। এবং সেখানেই কিশোরের চিকিৎসার সমস্ত বন্দোবস্ত করেন বীরবাহা (Birbaha)।

লালগড়ের (Lalghor) সিজুয়া (Sijuya) গ্রামেই ১৭ বছরের ওই কিশোর সুশান্তের বাড়ি। এবং ওই ক্যান্সার আক্রান্ত কিশোরের কথা বীরবাহা (Birbaha) দু-দিন আগেই জানতে পারেন এবং শোনামাত্রই তিনি না থাকতে পেরে পৌঁছে যান সেই কিশোরের বাড়ি। সুশান্তের এবছর মাধ্যমিক দেওয়ারও কথা ছিল জানতে পারেন বীরবাহা (Birbaha)।

প্রতিশ্রুতি দিয়েও কথা রাখলো না বিজেপি সাংসদ, ঝাড়গ্রামের ক্যানসার আক্রান্ত কিশোরের পাশে দাঁড়ালেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা

তাছাড়াও কিশোরের বাড়ি গিয়ে পরিবারের দুর্দিনের কথা শুনে মন্ত্রী কলকাতায় (Kolkata) তার চিকিৎসা করানোর প্রতিশ্রুতি দেন। এর আগেও ঝাড়গ্রামের (Jhargram Bjp Mp) কুনার হেমব্রম (Kunar hemram) প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে বেঙ্গালুরুতে (Bangalore) চিকিৎসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তবে প্রতিশ্রুতি পালন করেননি তিনি। চিকিৎসা না করেই তাদের ফিরে আসতে হয় সর্বহারা হয়ে। সুশান্তের বাবা রঞ্জিৎ বেজ (Ranjit bej) পেশায় কৃষক, তাদের সমস্ত জমি-জমা বিক্রি করে তারা বেঙ্গালুরু গিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে শেষ পর্যন্ত কোনও লাভের লাভ হয়নি তাদের। ছেলেকে একই রকম অবস্থায় একরাশ হতাশা নিয়ে ফিরতে হয় রঞ্জিত বাবুকে। শেষে সুশান্তের সমস্ত রকম চিকিৎসার দ্বায়িত্ব ভার  তুলেনেন মন্ত্রী বীরবাহা (Minister Birbaha)।

রঞ্জিত বাবুকে ছেলের কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি চোখের জল মুছে বলেন, সুশান্ত কিছুদিন আগেই  ক্লাবে গেছিল, এবং সেখানেই পায়ের ডান দিকের হাঁটুতে চোট পায় সে। তারপর থেকেই অনেক চেষ্টা করলেও পায়ে যেখানে সে চোট পায়, ক্ষতস্থানটি কিছুতেই শুকোচ্ছিল না। চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন ক্যান্সারে আক্রান্ত সুশান্ত। বৃহস্পতিবার সকালেই লালগড়ের (Lalghor) (Sijua) সিজুয়া থেকে নিজের কথা মতোই, বিনপুর (Binpur) ব্লক তৃণমূল সভাপতি শ্যামল মাহাতো (Samal Mahato) এবং কিশোরের বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে সুশান্তকে গাড়িতে করে ঝাড়গ্রামে (Jhargram) আনা হয়। এবং তারপরই অসুস্থ কিশোরকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন বীরবাহা।

ওর চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে অর্থ সাহায্যে

সূত্রের খবর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Bandopadhyay) ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ও চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে (Chittaranjan hospital) যান সুশান্তের খবর নেওয়ার জন্য। কালকে পৌঁছানো মাত্র সুশান্তের কোভিড টেস্ট করানো হয় এবং রিপোর্ট আজ আসায় জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই তার চিকিৎসার সমস্ত বন্দোবস্ত করা হয়েছে। আজ থেকেই তার চিকিৎসা শুরু হবে। চিত্তরঞ্জন হাসপাতালের দু-জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সুশান্তকে দেখছেন বলে জানা যাচ্ছে।

Read More – প্রবল বৃষ্টির ফলে ঝাড়গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন

বীরবাহা (Birbaha) সাংবাদিকদের (Media) মুখোমুখি হলে জানান,”খবর পেয়ে যখন সুশান্তর বাড়িতে যাই , তখন জানতে পারি সাংসদ ওর চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে অর্থ সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সাহায্য না পাওয়ায় অসুস্থ সুশান্তের চিকিৎসা না করিয়েই ওর পরিবারকে বাড়ি ফিরে আসতে হয়। চোখের সামনে তরতাজা ছেলে চিকিৎসা না পেয়ে শেষ হয়ে যাবে ! এটা মানা যায় না । আমি পাশে আছি । সুশান্তকে কলকাতা নিয়ে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ করে নিয়ে আসব।”

RELATED ARTICLES

कोई जवाब दें

कृपया अपनी टिप्पणी दर्ज करें!
कृपया अपना नाम यहाँ दर्ज करें

spot_img

Most Popular

Recent Comments