হলদিয়া: হলদিয়ার সুতাহাটা থানা এলাকায় এক ৭বছরের নাবালিকার যৌন হেনস্থার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হলো সঞ্জীব দাস নামক এক ৫৫বছরের মধ্যবয়স্ক ব্যক্তিকে। এই নির্মম ঘটনাটি ঘটেছে সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে শালুকখালি তে।
জানা যায়, গত ১৩ই জুলাই মঙ্গলবার বিকেলে ঐ নাবালিকা খেলার ছলে কাপড় পড়ে প্রতিবেশী সঞ্জীব দাস এর একটি ছোট্ট দোকানে যায়। অভিযোগ ওই সঞ্জিব দাস দোকানদার তাকে ডেকে নিয়ে যায় এবং বাড়ির ভেতরে নিয়ে গিয়ে খাটে শুইয়ে দেয়। এরপর ওই ব্যক্তি নাবালিকার সাথে যৌন হেনস্থা করে।
আরও খবর: ঝাড়গ্রাম ইকোপার্কে বনমহোৎসব কর্মসূচির সূচনা করলেন রাজ্যের বনদপ্তরের প্রতিমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা
ওই নবালিকা যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে বাড়িতে ছুটে এসে এবং তার পরিবারকে সমস্ত বিষয়টি বলে। তৎক্ষণাৎ ওই নাবালিকার মা বাবা দুজনে সঞ্জীব দাস কে ধরে তাকে বললে সে তার বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে।
এরপর নাবালিকার পরিবার হলদিয়া দূর্গাচকে মহিলা থানায় ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে নাবালিকার যৌন হেনস্থা বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই দিন রাত্রে শালুকখালি থেকে সঞ্জীব দাস কে গ্রেপ্তার করে। বুধবার হলদিয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে হলদিয়া মহিলা থানা তিন দিনের পুলিশ রিমান্ডে নেয়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দোষী সঞ্জীব দাস তার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
তাকে শুক্রবার আবার হলদিয়া মহকুমা আদালতে তোলা হয়। এরপর ওই ব্যক্তির জামিনের আবেদন করলে বিচারক নাকচ করে দেয়। শালুক খালিতে এই ঘটনা সকলের মধ্যে জানাজানি হওয়ার পর উত্তেজনা চরমে ওঠে। এলাকাবাসী এবং তার পরিবার ওই অভিযুক্তের ফাঁসির আবেদন করেন।
হলদিয়া ৭ বছরের এক নাবালিকার যৌন হেনস্থার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৫৫ বছরের মধ্যবয়স্ক ব্যক্তি
সঞ্জীব দাস এর স্ত্রী ও দুই যুবক ছেলে রয়েছে। এই ঘটনার পর সঞ্জীব দাসের দুই ছেলে নাবালিকার বাড়িতে চড়াও হয় বলে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এমনকি ওই নাবালিকার বাড়িঘর ভেঙ্গে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পরে গ্রামবাসীরা উত্তেজিত হয়ে সঞ্জীব দাস এর পরিবারকে গ্রামছাড়া করার কথা জানায়। ওই সঞ্জিব দাস এর আগেও তার প্রতিবেশী কয়েকটি নাবালিকার সাথে এমন আচরণ করেছে বলে জানা যায়। এই নৃশংস ঘটনার ফলে শালুকখালি এলাকায় চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।