Thursday, May 2, 2024
- Advertisment -spot_img

রাজনৈতিক অঙ্ক পাল্টেছে নেতাই গ্রামে, কোপ পড়ছে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠদের ওপর

নিজস্ব প্রতিবেদন, ঝাড়গ্রাম: তৃতীয় বারের জন্য সরকারের গঠনের পর নতুন কমিটি গড়ার উদ্যোগ শুরু হয়েছে ঘাসফুল শিবিরে। জানা যাচ্ছে, নেতাই শহীদ স্মৃতিরক্ষা কমিটির পদ থেকে সরানো হচ্ছে শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠদের। জোড়াফুল সূত্রের খবর, এই মাসেই সভা ডেকে নতুন কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির বর্তমান সভাপতি দ্বারকানাথ পণ্ডাকে সরিয়ে নতুন সভাপতি নির্বাচন করা হবে। বিধানসভা ভোটের আগে, নেতাই গ্রামের রাশ কার্যত হালকা হয়ে গিয়েছিল ঘাসফুলের হাত থেকে। গত ৭ জানুয়ারি নেতাই দিবসে কমিটির অমতে শহীদ স্মরণসভার আয়োজন করতে পারেনি শাসক দল। তৃণমূল শিবিরের ক্রোধ, শুভেন্দু অধিকারীর কথাতেই কমিটির কর্মকর্তারা গ্রামের বার্ষিক স্মরণ সভা বাতিল করেছিলেন। ঐদিন নেতাই দিবসের সকালে শুভেন্দু অধিকারীর সাথে দ্বারকানাথ শহীদ বেদীতে মাল্যদান করেন। পরবর্তীতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের অন্যান্য কর্মী-সমর্থকরা বেদিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
তবে, বিধানসভা ভোটের খেলায় জয় লাভ করে নিতাই গ্রামের দুটি বুথের লিড ধরে রেখেছে তৃণমূল। জয় পরবর্তী পরিস্থিতিতে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা কমিটির সভাপতি বদলের সিদ্ধান্ত নেয়। নতুন স্মৃতি রক্ষা কমিটি গড়তে দলের সদস্যদের সাথে প্রাথমিক আলোচনা সেরে নিয়েছেন লালগড় ব্লক তৃণমূল সভাপতি শ্যামল মাহাতো। তিনি মন্তব্য করেন, ” নিতাই শহীদ স্মৃতি রক্ষা কমিটি নতুন করে গড়তে কিছুদিনের মধ্যেই সভা ডেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কমিটিতে যারা প্রবীণ, বয়সের কারণে দায়িত্বভার গ্রহণ করতে অক্ষম; তাদের বদলে নবীন সদস্যদের দায়িত্বভার দেওয়া হবে।”
তৃণমূল সূত্রের খবর, কমিটির বর্তমান সভাপতি ৭৮ বছরের প্রবীণ দ্বারকানাথ পণ্ডার প্রতি অসন্তুষ্ট বর্তমান শাসকদল। প্রসঙ্গত, চলতি বছরে শহীদ বেদীর সামনে দ্বারকানাথের পাশে শুভেন্দু অধিকারী ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিয়েছিলেন।
একটু ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, ২০১১ সালে ৭ জানুয়ারী লাল শিবির থেকে চলা গুলিতে ৪ মহিলা সহ ৯ জন গ্রামবাসীর অকাল মৃত্যুর অভিযোগ উঠে আসে। ঘটনার ছয় মাস পর গ্রামবাসীদের নিয়ে শহীদ স্মৃতি রক্ষা কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই সময় কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন দ্বারকানাথ পণ্ডা। শুরু থেকেই এই কমিটির সাথে যোগ ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। প্রতি বছর বার্ষিক অনুষ্ঠানে শুভেন্দু আসতেন, এবং শহীদ বেদী হয়েছে শুভেন্দুর তত্ত্বাবধানেই। সেই শুভেন্দু বিজেপিতে যাওয়ার পর তার ঘনিষ্ঠ লালগড় ব্লক যুব তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি নেতাই গ্রামের তন্ময় রায়ও পদ্ম শিবিরে যোগদান করেন। ফলে রাজনৈতিক অংক পাল্টে গিয়েছে নেতাই গ্রামে। কয়েকদিন আগেই বন প্রতিমন্ত্রী তথা ঝাড়গ্রাম-এর বিধায়ক বিরবাহা হাঁসদা একটু ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, ২০১১ সালে ৭ জানুয়ারী লাল শিবির থেকে চলা গুলিতে ৪ মহিলা সহ ৯ জন গ্রামবাসীর অকাল মৃত্যুর অভিযোগ উঠে আসে। ঘটনার ছয় মাস পর গ্রামবাসীদের নিয়ে শহীদ স্মৃতি রক্ষা কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই সময় কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন দ্বারকানাথ পণ্ডা। শুরু থেকেই এই কমিটির সাথে যোগ ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। প্রতি বছর বার্ষিক অনুষ্ঠানে শুভেন্দু আসতেন, এবং শহীদ বেদী হয়েছে শুভেন্দুর তত্ত্বাবধানেই। সেই শুভেন্দু বিজেপিতে যাওয়ার পর তার ঘনিষ্ঠ লালগড় ব্লক যুব তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি নেতাই গ্রামের তন্ময় রায়ও পদ্ম শিবিরে যোগদান করেন। ফলে রাজনৈতিক অংক পাল্টে গিয়েছে নেতাই গ্রামে।

RELATED ARTICLES

कोई जवाब दें

कृपया अपनी टिप्पणी दर्ज करें!
कृपया अपना नाम यहाँ दर्ज करें

spot_img

Most Popular

Recent Comments