Monday, May 20, 2024
- Advertisment -spot_img

ঝাড়গ্রামের জিতুশোলে অজানা জ্বরে আক্রান্ত একশোর বেশি পরিবার, মৃত ২

স্টাফ রিপোর্টার, ঝাড়গ্রাম:- একে রামে রক্ষে নেই; সুগ্রীব দোসর; চরম দুর্দশার কবলে ঝাড়গ্রামের জিতুশোল বাসী। জানা যাচ্ছে ঝাড়গ্রামের এই গ্রামে অজানা কোনো এক জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে একশোটি পরিবার।

 

একে করোনা তার উপর এই জ্বর; গোদের উপর বিষফোড়ার মত পরিস্থিতি মানুষদের। অধিকাংশ বাড়ির মানুষই জ্বর, সর্দি, কাশি তে ভুগছেন কিন্তু হাসপাতাল মুখী হচ্ছেনা কিছুতেই। হাতুড়ি ডাক্তার বা স্থানীয় দোকান থেকে ওষুধ খেয়ে বাড়িতেই দিনযাপন করছে অসুস্থ রোগীরা। ইতিমধ্যেই গ্রামের দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালেও, উদাসীন প্রশাসন। গ্রামের যে সমস্ত মানুষ হাসপাতালে কভিড টেস্ট করিয়েছেন তারা প্রায় সকলেই করোনা পজেটিভ। তারপরও চেতনা ফেরেনি গোটা গ্রামের। স্বাস্থ্যবিধি কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে, মাস্ক না পড়েই এদিক সেদিক ঘুরে বেড়াচ্ছেন গ্রামবাসীরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ এখানে নেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ। এক স্থানীয় মানুষের বক্তব্য, এই গ্রামে কোনো ডাক্তার আসেনা। যেখানে সারা পৃথিবীর কপালে ভাঁজ পড়েছে করোনার সংক্রমণ নিয়ে সেখানে এই গ্রামের মানুষ এখনো উদাসীন। সরকারি নির্দেশনা কে উপেক্ষা করেই মানুষের আনাগোনা করছে ঝাড়খন্ড ওড়িস্যা, বিহার থেকে। তিনি আরো বলেন জিতুশোলের আয়রন কারখানা লকডাউন-এর মধ্যেও খোলা থাকায় বাইরে থেকে বহু মানুষ এসে ভিড় জমাচ্ছেন, যা এলাকাবাসীর মধ্যে চাঞ্চল্য ও আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। এই কারখানা থেকে প্রতিনিয়তঃ দূষণ ছড়াচ্ছে বলেও অভিযোগ। এছাড়াও ভিন রাজ্যের বিভিন্ন শ্রমিক প্রতিনিয়ত আনাগোনা করছে গ্রামে; সেই সমস্ত লিডারদের থেকেও এমন হতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন গ্রামের সচেতন মানুষ। তার সাথে মোহনপুর ব্লক ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চরম অবহেলা অবস্থার আরো অবনতি ঘটিয়েছে। গণহারে এই অজানা জ্বরের কারণ কি? সে সম্পর্কিত কোনো খোঁজ-খবর নেয় না মোহনপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং সেখানকার বি এম ও এইচ মানিক সিং। এতদিন ধরে এইরূপ অজানা ঝড়ের খবর জানার পরও তারা কার্যত নিশ্চুপ। বি এম ও এইচ এর তরফ থেকে কোন টিম পাঠানো হয়নি, এমনকি কোন পরীক্ষার ব্যবস্থাও করা হয়নি। সচেতন মানুষেরা নিজে থেকে টেস্ট করালে অধিকাংশেরই করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এই অজানা জ্বরের পিছনে মূল কারণ করোনাভাইরাস হতে পারে বলে মনে করছেন সেই সমস্ত সচেতন মানুষেরা। প্রতিমুহূর্তে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে গোটা গ্রাম। ঝাড়গ্রাম জেলা থেকে মাত্র আট কিমি দূরে এই গ্রাম নিয়ে কেন এত উদাসীন জেলা প্রশাসন তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

RELATED ARTICLES

कोई जवाब दें

कृपया अपनी टिप्पणी दर्ज करें!
कृपया अपना नाम यहाँ दर्ज करें

spot_img

Most Popular

Recent Comments