Sunday, May 5, 2024
- Advertisment -spot_img

খড়গপুরে এক কিশোরকে খুন করার পর মাটিতে পুতে দেওয়ার অভিযোগ উঠল কারখানার নিরাপত্তা রক্ষীর বিরুদ্ধে

নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর: খড়গপুর লোকাল থানার কাঁটাপাল গ্রামে এক কিশোরকে গুলি করে খুন করার পর মৃত দেহ মাটিতে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ উঠল একটি কারখানার এক নিরাপত্তারক্ষীর বিরুদ্ধে এলাকায় উত্তেজনা বিশাল পুলিশবাহিনী। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে এক গুলিবিদ্ধ কিশোরের দেহ মাটি খুঁড়ে শনিবার উদ্ধার করল খড়গপুর লোকাল থানার পুলিশ। খড়গপুর লোকাল থানার অন্তর্গত গোকুলপুর স্টেশন লাগোয়া কাঁটাপাল নামক এলাকায় এই ঘটনাকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাস্থল গোকুলপুর স্টেশন বাজার থেকে ২০০মিটার দূরত্বে। খড়গপুরে এক

ঘটনাস্থলে রয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রানা মুখোপাধ্যায় সহ একাধিক পুলিশ আধিকারিক। কীভাবে ওই কিশোর গুলিবিদ্ধ হল আর কেনই বা তাঁকে রাতারাতি মাটির গর্ত করে পুঁতে দেওয়া হল তাই নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।ওই ঘটনায় আরও ১জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে জানা গেছে। শনিবার বেলার দিকে মৃতদেহটি উদ্ধার করার পর দেখা যায় গত ২৪ঘন্টার মধ্যেই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে ওই কিশোর। দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালের পুলিশ মর্গে। বিষয়টি নিয়ে এখুনি মুখ খুলতে রাজি হয়নি পুলিশ।

খড়গপুরে এক কিশোরকে খুন করার পর মাটিতে পুতে দেওয়ার অভিযোগ উঠল

পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘পুরো বিষয়টির প্রাথমিক তদন্তের স্তরে রয়েছে। এখুনি কিছু বলার মত নয়।’ ঘটনায় অভিযুক্ত কারখানার নিরাপত্তারক্ষী সুরেন্দ্র নাথ ঠাকুর কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।স্থানীয় একটি সূত্র জানাচ্ছে খড়গপুর শিল্পতালুকে বেশ কয়েকটি কারখানা বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। মাঝে মধ্যেই কারখানাগুলির প্রাচীরের ভাঙা অথবা অরক্ষিত অংশ দিয়ে, কখনও বা প্রাচীর টপকে কারখানার যন্ত্রাংশ চুরি করে নিয়ে যায় কিছু মানুষ। আর সেই কারনে কোনও কোনও বন্ধ কারখানায় গানম্যান বা সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন থাকে। তাদেরই গুলিতে আহত হয়ে ওই কিশোরের মৃত্যু হয় থাকতে পারে এমনটাই অনুমান করা হচ্ছে।

জানা গেছে ওই কিশোরের নাম কাশীনাথ দলুই, বয়স আনুমানিক ১৫ বছর। কাশিনাথের বাড়ি কাঁটাপাল গ্রামেই।গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার বিকাল ৩ টা নাগাদ ঘটনার খবর ছড়িয়েছিল এলাকায় যে ২জন কিশোর গুলিবিদ্ধ হয়েছে। কাশিনাথের বাড়ি কাঁটাপাল থেকে ওই বন্ধ কারখানাটির দূরত্ব প্রায় ৫০০মিটার। গ্রামবাসীরা দেখতে পায় আহত দুজনকে কয়েকজন মিলে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। এরমধ্যে একজনের পায়ে গুলি লেগেছিল বলে গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন। সে বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। কাশীনাথ হয় ঘটনাস্থলে কিংবা কিছুক্ষণ পরে মারা যায়। সম্ভবতঃ বিষয়টি জানাজানি হয়ে পড়তে পারে এই ভয় থেকেই তাকে মাটির গর্ত করে পুঁতে দেওয়া হয়।

কাশীনাথের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে তাদের পরিবারের

পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে শুক্রবার তাদের কাছে খবর আসে যে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে এবং একজনের মৃতদেহ মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে। কিন্তু ঠিক কোথায় দেহ পোঁতা হয়েছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারছিল না পুলিশ। পাশাপাশি এলাকায় তীব্র উত্তেজনা থাকায় শুক্রবার সন্ধ্যার সময় দেহ উদ্ধারের ঝুঁকি নেয়নি পুলিশ। শনিবার বড়সড় পুলিশ বাহিনী নিয়েই অভিযান চালিয়ে মাটি খুঁড়ে দেহ উদ্ধার করে খড়গপুর লোকাল থানার পুলিশ। কাশীনাথের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে তাদের পরিবারের ছেলে চুরি করতে যায়নি, কারখানার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। নেহাতই সন্দেহের বশে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে। ঘটনাস্থলে রয়েছে খড়গপুর লোকাল থানার বিশাল পুলিশবাহিনী।

Read More –ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

মাছ ধরতে গিয়ে ঝাড়গ্রামের ঝাড়াগেড়িয়া এলাকায় এক ব্যক্তির মৃত্যু, এলাকায় চাঞ্চল্য

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রাম জেলার ঝাড়গ্রাম ব্লকের ঝাড়াগেড়িয়া গ্রামের প্রায় ৪০ বছর বয়সী শ্যামল মান্ডি শুক্রবার বিকেল থেকে গ্রামেরই মাঠে মাছ ধরতে গিয়েছিল। কিন্তু সন্ধ্যা হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও সে বাড়ি ফিরে আসেনি। মাছ ধরতে গিয়ে বাড়ি ফিরে না আসায় তার পরিবারের লোকেরা তার সন্ধানে খোঁজখবর করে। অবশেষে শুক্রবার রাত্রি নটা নাগাদ গ্রামের মাঠ থেকে অচৈতন্য অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। এরপর তাকে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করা হলে ডাক্তারবাবুরা তাকে দেখার পর মৃত বলে ঘোষণা করেন।

তবে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে।

কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। ঝাড়্গ্রাম থানার পুলিশ মৃতদেহ টি উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের মর্গে শনিবার ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় । পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে ঠিক কি কারণে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তবে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। সেই সঙ্গে ওই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

বিনপুরে বিদ্যুৎ পৃষ্ঠ হয়ে এক নাবালিকার মৃত্যু,এলাকায় শোকের ছায়া

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রাম জেলার বিনপুর থানার অন্তর্গত একতালি গ্রামে শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটে। মৃত নাবালিকার নাম মল্লিকা নায়েক ,তার বয়স ১২ বছর । তার পরিবারের পক্ষে ভারতী নায়েক বলেন শুক্রবার রাত নটা নাগাদ বাড়ির দরজায় আর্থিং এর তার লেগে বিদ্যুৎ সংযোগ হয়ে যায়। সেই সময় অসাবধানবশত মল্লিকা বাড়ির দরজায় হাত দিলে সে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে পড়ে । বিষয় টি জানার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় বিনপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ডাক্তার বাবুরা তাকে দেখার পর মৃত বলে ঘোষণা করে।

খতিয়ে দেখার জন্য বিনপুর থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। খড়গপুরে এক

বিনপুর থানার পুলিশ শনিবার সকালে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। তবে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাঁর পরিবারে ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। ঠিক কি কারণে ওই নাবালিকা তার বাড়ির মধ্যে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছে তা খতিয়ে দেখার জন্য বিনপুর থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। সেই সঙ্গে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের পর বিনপুর থানার পুলিশ মৃতদেহটিকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেয়।

RELATED ARTICLES

कोई जवाब दें

कृपया अपनी टिप्पणी दर्ज करें!
कृपया अपना नाम यहाँ दर्ज करें

spot_img

Most Popular

Recent Comments