নিজস্ব প্রতিবেদন, ঝাড়গ্রাম: রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ কমছে, সাথে কমছে মৃত্যুর হারও। তবু কোনোরূপ শিথিলতা চাইছে না প্রশাসন। সতর্কতার সাথে প্রত্যেকটি পদক্ষেপ ফেলতে হবে। বজ্র আঁটুনি যেতে কোন মতেই আলগা না হয় তাই, কিছু শিথিলতার সাথেই রাজ্যে আত্মশাসন বহাল রয়েছে ১ জুলাই পর্যন্ত। পাশাপাশি এবার থেকে জেলাওয়ারি হাই রেস্ট্রিকশন জোন ঘোষণা করা হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
হাই রেস্ট্রিকশন জোন গুলিতে থাকবে কড়া নজরদারি। ঢিলেঢালা ‘নৈব নৈব চ!’ গত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে ফের কনটেইনমেন্ট জোন এর পথেই হাঁটছে প্রশাসন। আগামী ১৯ শে জুন থেকে ঝাড়গ্রাম জেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় কড়া নজরদারি চালানো হবে। বিধিনিষেধ জারি থাকবে ওই এলাকায় গুলিতে। এমনটাই জানানো হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
ঝাড়গ্রাম-এর মোট ২১ টি অঞ্চল ঘিরে তৈরি হবে এই হাই রেস্ট্রিকশন জোন। হাই রেস্ট্রিকশন জোন চিহ্নিত এলাকা গুলি হল: ঝাড়গ্রাম পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ড ও জেলার মানিকপাড়া, লোধাশুলি ও শালবনি। এছাড়াও রয়েছে, জামবনির গিধনি, গোপীবল্লভপুর-১, গোপীবল্লভপুর ব্লকের তোপসিয়া, নোটা, চোরচিতা, কুলিয়ানা ও বেলিয়াবেড়া ও গোহালমারা বাজার। সাঁকরাইল ব্লক-এর রোহিণী, নয়াগ্রাম, বিনপুর ১ ব্লকের লালগড়, রামগড়, দহিজুড়ি ও বিনপুর ২ ব্লকের বেলপাহাড়ি ও ভেলাইডিহা এলাকা।
১৭ জুন, বৃহস্পতিবার চিহ্নিত এলাকাগুলিতে মাইকিং করা হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। আগামী ১৯ জুন, শনিবার থেকে বাইরে থেকে এই অঞ্চলগুলিতে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। শুধু তাই নয় এই এলাকা গুলির বাইরের কেউ যেতে পারবেন না। শুধুমাত্র জরুরী কালীন পরিষেবা ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে থাকবে ছাড়। বিভিন্ন দোকানপাট খোলা থাকবে প্রশাসনের নিয়ম অনুযায়ী। তবে, দোকানে একজন ব্যক্তির বেশি প্রবেশ করতে পারবেন না বলে জানানো হয়েছে। বাড়ির বাইরে বেরোলেই মানতে হবে করোনা প্রটোকল।
করোনা সংক্রমণ রুখতে ইতি মধ্যে লকডাউনের বদলে ছোটো ছোটো এলাকায় কনটেন্টমেন জোন করে বিধিনিষেধ লাগু করার পরিকল্পনা নিয়েছে প্রশাসন। সেই মতো করে ঝাড়গ্ৰাম জেলার নয়াগ্ৰাম ব্লকের খড়িকামাথানী বাজার এলাকাকে কন্টেন্টম্যান জোন হিসাবে ঘোষণা করল নয়াগ্ৰাম থানার পুলিশ প্রশাসন। বৃহস্পতিবার নয়াগ্ৰাম থানার পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করে ঘোষণা করা হয়, আগামী ১৯ শে জুন অর্থাৎ শনিবার থেকে খড়িকামাথানী বাজার এলাকা গন্ডিবদ্ধ এলাকায় পরিনত হবে।এই এলাকায় বাইরের কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না, পাশাপাশি খড়িকামাথানীর কেউ বাইরে যেতে পারবেন না। সরকারি নিয়মে দোকান খোলা থাকলেও দোকানে সব সময় একজন করে ক্রেতা কেনাকাটা করতে পারবেন। একজন বেরোলে আর একজন প্রবেশ করতে পারবেন। নয়াগ্রামের পাশাপাশি বাকি সবজায়গাতেও একি রকম বিধিনিষেধ অারোপ করা হয়েছে। চলছে পুলিশের নাকা চেকিং।