কলকাতা: ‘গুরু’ মুকুল রায়ের দেখান পথেই কী পদ্ম ত্যাগ করতে চলেছেন শঙ্কুদেব পন্ডা? হিরন চট্টোপাধ্যায়ের পর আজ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার পর থেকেই এই জল্পনা শুরু হয়েছে। আজ বিজেপি রাজ্য যুব মোর্চার সব হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন তিনি। যদিও বর্তমানে বঙ্গ বিজেপির কোনও পদেই ছিলেন না একসময় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি শঙ্কু। ১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। গুরু মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে আসেন তিনি। বেশ কিছুদিন ধরেই দলের সঙ্গে শঙ্কুর দূরত্ব বাড়ছিল খবর। আজকাল বিজেপির কোনও কর্মসূচিতেই দেখা যাচ্ছিল না তাঁকে। শোনা যাচ্ছে, ফের ঘাসফুলেই ফিরছেন ওই নেতা। যদিও এখনও শঙ্কুর তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের বক্তব্য,” শঙ্কুদেব পাণ্ডাকে কিছু কিছু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তবে ইদানীং তাঁকে কোনও দায়িত্বে রাখা হয়নি। তৃণমূল, সিপিএম ছেড়ে অনেকে এসেছিলেন বিজেপিতে, তাঁদের অনেকে ভালভাবেই রাজনীতি করছেন। তাঁদের ঘর গোছানোর কাজেও লাগাচ্ছে বিজেপি।”
আরও খবর: এবার হোয়াটসআপ গ্রুপ ছাড়লেন হিরন
বিজেপি ছাড়ছেন শঙ্কুদেব?
নোনাডাঙা থেকে উদ্ধার এক অটোচালকের মৃতদেহ
কলকাতা: নোনাডাঙা থেকে উদ্ধার এক অটোচালকের মৃতদেহ। মৃতের নাম বিশ্বজিৎ জানা (৩৬)। গড়িয়াহাট থেকে রুবির রুটে অটো চালাতেন বিশ্বজিৎ। শনিবার রাত থেকেই নিখোজ ছিলেন এই যুবক। গতকাল রাত ১০: ৩০ নাগাদ বাড়ি থেকে স্থানীয় একটি দোকানে যায় ওই যুবক। আর আজ সকালে ফর্টিজ হাসপাতালের পিছনে একটি পরিত্যক্ত গোডাউন থেকে উদ্ধার হয় তার রক্তাক্ত দেহ। চারিদিকে ভেসে যাচ্ছে রক্তে। মৃতের মাথার পিছনে ভারী কিছু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। ঘটনাস্থল থেকে মদের ভাঙা বোতল, রড ও ইটের টুকরো মিলেছে
পারিবারিক সূত্রে খবর, শনিবার রাত ১০: ৩০ নাগাদ স্থানীয় একটি দোকানে কিছু জিনিস কিনতে যান বিশ্বজিৎ। আর সেখান থেকেই আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। সম্ভবত স্থানীয় একটি মদের ঠেকে গিয়ে মদ্যপান করার পর, বচসায় জড়িয়ে পরে। খুন করে আর সেখান থেকে এই পারিতক্ত গোডাউনে দেহ ফেলে রেখে দেওয়া হয়। আর আজ সকালে স্থানীয় মানুষ দেহ দেখতে পেয়ে মৃতের বাড়িতে খবর দেয়, খবর দেওয়া হয় পুলিশেও। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, একাধিক সঙ্গীর সঙ্গে মদ্যপান করেন বিশ্বজিৎ। সেখানেই কোনওভানে বচসার সময়ে এই খুনের ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশের মতে, একাধিকজন এই ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে। তবে কারা কারা এই মদ্যপানের আসরে ছিল, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। তার দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। তদন্তের রিপোর্ট কীভাবে মৃত্যু তার আসল কারণ জানা যাবে। দেহ উদ্ধার হতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। পরিবারের লোকের দাবি খুন করা হয়েছে ওই যুবককে