জঙ্গলমহল বার্তা ডেস্ক: “বাদাম বাদাম দাদা কাঁচা বাদাম, “আমার কাছে নাইগো বাবু ভাজা বাদাম”, “আমার কাছে আছে শুধু কাঁচা বাদাম”- এই জবরদোস্ত লিরিক্স সম্পর্কে জানেন না এমন মানুষ খুবই কম। আট থেকে আশি এখন সবাই বড়ো ফ্যান বাদাম কাকুর। নেট পাড়ায় এখন তারই গান ভাইরাল। তার গান এখন চলছে টপ ট্রেন্ডিং-এ। ভারতে টিকটক বন্ধ হলেও বাংলাদেশে রীতিমত বাদাম কাকুর গানে পোস্ট করেননি ইনফ্লুয়েন্সাররা, এরকম খুব কম ফেমাশ টিকটকাররাই রয়েছেন। তবে ভারতে অবশ্য ইনস্টাগ্রাম রিলে তার গানের সঙ্গে ভিডিওর ছড়াছড়ি।
বিখ্যাত ইউটিউবারাও পৌঁছে যাচ্ছেন তার কাছে, তাকে কিছু সাহায্য করার জন্য। কিছুদিন আগেই বিখ্যাত ইউটিউবার স্যান্ডি সাহা-ও রীতিমত পৌঁছেযান। তবে এবারে এক অন্য ঘটনা, কেশব দে পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম বিখ্যাত গায়ক সরাসরি তার একটি ফেসবুক পোস্ট মারফত তার ভক্তদের কাছে শেয়ার করেন যেখানে তিনি তার সেই পোস্টিতে লেখেন, “বাদাম কাকু (ভুবন বাদ্যকার) এর পাশে থাকতে চাই। কিভাবে সম্ভব জানাবেন। ওনার গান গেয়ে নয় বরং পাশে দাঁড়িয়ে ওনার মুখে খুশির হাসি দেখতে চাই। এই গান ওনার নামেই তোলা থাক”
এটি কিছুদিন আগে করা একটি পোস্ট হলেও এখনও কোনও সাহায্যের ভিডিও হয়তো তিনি পোস্ট করেনি। তবে এখনও এটাও বলা যাচ্ছে না আদৌ তিনি ভুবন বাদ্যকার এর কাছে গিয়েছিলেন। নয়তোবা তিনি হয়তো গিয়েছিলেন কিন্তু তিনি এই ঘটনাটিকে জনসম্মুখে আনতে চাইছেন না। জঙ্গলমহল বার্তার তরফ থেকে কেশব দে-র সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি জানান, তিনি তার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট করেছিলেন, এবং কিভাবে তাকে অর্থাৎ ভুবন বাদ্যকারকে তিনি সাহায্য করবেন সেবিষয়ে প্রচুর মতামতও পেয়েছেন তিনি।
বাদাম কাকু হরফে ভুবন বাদ্যকার এর পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি, কেশব দে-র
নতুন চমক নিয়ে অভিনন্দনের নতুন গানের অ্যালবাম “বিন্দাস”
তার মতে ভুবন বাদ্যকার এর গানের সুর অন্যান্য অনেক গায়ক কেই হার মানিয়ে দেবে, তবে কেন তাকে কেও সঠিকভাবে সাহায্য করছেন না? কেবল সবাই নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের ভিউ বাড়ানোর জন্য তাকে ব্যবহার করছেন। হয়তো কিছু সাহায্য করেছেন তবে তাকে কিন্তু এখনও বাদাম বিক্রেতা হয়েই থাকতে হচ্ছে। এমনই সব বিস্ফোরক মন্তব্য তিনি করতে থাকেন। তবে তিনি তার বক্তব্যে এও বলেন, তিনি ভুবন বাদ্যকার এর এলাকার এসডিও-এর সাথে কথা বলেছেন। খুব শীঘ্রই তিনি সবারই প্রিয় বাদাম কাকুর কাছে সাহায্য পাঠানোর চেষ্টা করছেন।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বাতিল বেশ কয়েকটি দুরপাল্লার ট্রেন
যদিও অনেক ফেসবুক বা সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সাররা যথেষ্টই বাদাম কাকুকে নিয়ে মাতামাতি করেছেন। অনেকেই বিষয়টিকে সাপোর্ট করলেও অনেক নেটিজেনরা তাদের ভিউ বাড়ানোর জন্যই এই কাজ করছেন বলে জানাচ্ছেন। সেরকমভাবেই কেশব দে-র শেয়ার করা পোস্টে এরকম অনেক নেটিজেনদের মন্তব্য দেখা গেলেও সেরকম ভাবে কেশব দে-কে সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে দেখা যায় নি। যদিও কেশব দে বলেছেন এবিষয়ে তিনি কোনও ভিডিও বা ছবি তার সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাড়বেন না। তবে এভাবেই যদি সমাজের অনেকেই এই ভুবন বাদ্যকার-দের মতো মানুষদের পাশে দাঁড়াতে পারতেন তবে অনেকেই সমাজের মূল আলোর স্রোতের দিকে ফিরতে পারতেন।
লেখা: সানি বাগ