ঝাড়গ্রাম : বুধবার তৃণমূল (Tmc) যুব কংগ্রেসের উদ্যোগে ঝাড়গ্রাম (Jhargram) জেলার ঝাড়গ্রাম শহরের ডি এম হলে একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। ওই প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ, তৃণমূল কংগ্রেসের ঝাড়গ্রাম জেলার সভাপতি তথা বিধায়ক দেবনাথ হাঁসদা, তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সুরজিৎ হাঁসদা, প্রাক্তন সাংসদ ডাক্তার উমা সরেন, গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক ডাক্তার খগেন্দ্রনাথ মাহাত সহ আরো অনেকে।
বাংলা শান্তি চায়, হিংসা চায়না,
READ MORE : সম্পত্তির লোভে হাত পা ভেঙেও শান্তি হয়নি, খুন করে বাড়ির সেফটিক ট্যাঙ্কে ফেলেদিল ছেলেরা!
READ MORE :বাংলা শান্তি চায়, হিংসা চায়না, ঝাড়গ্রামে একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় বলেন সায়নী ঘোষ
একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভার প্রধান বক্তা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য কমিটির সভানেত্রী সায়নী ঘোষ (Sayoni Ghosh) তার ভাষনে বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস হিংসা যায় না, তৃণমূল কংগ্রেস শান্তি ও উন্নয়ন চায়। তৃণমূল কংগ্রেস আছে, আগামী দিনেও থাকবে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলার মানুষ বিজেপির, কংগ্রেস ও সি পি এম কে চায়না, বাংলার মেয়েকে চায়। যারা বাংলার উন্নয়ন চায়নি, বাংলার ক্ষতি চায় তাদেরকে মানুষ ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে উপযুক্ত জবাব দিয়েছে। তিনি তার ভাষণ ১৯৯৩ সালে তৎকালীন যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর নেতৃত্বে সচিত্র পরিচয় পত্রের দাবিতে যে আন্দোলনে তৎকালীন বামফ্রন্টের পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ১৩ জনকে শহীদ করে দিয়েছিল সেই শহীদদের স্মরণে প্রতি বছর কলকাতা ধর্মতলায় একুশে জুলাই শহীদ স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ঝাড়গ্রামে একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় বলেন সায়নী ঘোষ
করোণা পরিস্থিতির জন্য গত দু’বছর শহীদ স্মরণ অনুষ্ঠান উপলক্ষে কলকাতায় সমাবেশের আয়োজন করা হয়নি। এ বছর ঐতিহাসিক সমাবেশের ডাক দিয়েছেন দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই একুশে জুলাই সর্বস্তরের মানুষকে তিনি ধর্মতলার শহীদ স্মরণ সমাবেশে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন একুশে জুলাই মানে আবেগ, একুশে জুলাই মানে ভালোবাসা, একুশে জুলাই মানে দিশা একুশে জুলাই মানে আন্দোলন। তাই সর্বস্তরের মানুষকে তিনি একুশে জুলাই ধর্মতলার শহীদ স্মরণ সমাবেশে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান।