সানি বাগ: গাটরেল দিয়ে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। এই মুহুর্তের যা সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ, যে তাদের এই মিছিল কেন আটকাতে চাইছেনপুলিশ? দুপুর থেকে দফায় দফায় যেখানে রাস্তায় বসে প্রতিবাদ চালাতে থাকে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা তাদের ছাত্রনেতার খুনের বিরুদ্ধে, সেখানে পুলিশের এহেন পদক্ষেপ তারা মানতে চাইছেন না। এম.জি রোড থেকে মহাকরণের পথে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে ছাত্র-ছাত্রীরা শুধু ছাত্র-ছাত্রীরাই নন একই মিছিলের পথে পা মিলিয়েছেন কলেজের অধ্যাপক এবং অধ্যাপিকারাও, সেখানেই দফায় দফায় তাদের পথ আটকাতে থাকে পুলিশ- এমটাই অভিযোগ করছেন বিক্ষোভকারীরা। এমনকি যার কারণবশত তাদের মিছিলের পথে বদল আনতে হয় এবং অন্য পথ দিয়ে তারা এগোতে থাকেন। বিক্ষোভরত ছাত্র ছাত্রীদের দাবী একটাই, “আমরা আমাদের মূল কেন্দ্রে পৌছবোই। আমরা মহাকরণের উদ্দেশ্যে যাচ্ছি মহাকরণ ভাঙার জন্য নয়। আমরা আমাদের ছাত্র নেতা খুনের বদলা চাই, দোষীদের শাস্তি চাই। তাই এই প্রতিবাদ মিছিল সেখানে প্রতিনিয়ত আমাদের পথ আটকে দিচ্ছে পুলিশ।”
মিছিলটিকে কলেজস্ট্রিটে কর্তবরত পুলিশ মারফত গাটরেল দিয়ে আটকালেও ছাত্র-ছাত্রীরা সেখান থেকে কোনও মতেই উঠবেন না জানাচ্ছেন। তারা কর্তবরত পুলিশ কর্মীদের সামনে বসে পড়েন এবং পূর্ণ বিচার না পাওয়া পর্যন্ত “এই প্রতিবাদ চলছে, চলবে” শ্লোগান দিতে থাকেন। আনিস খানের মৃত্যুর এই ঘটনার পর ক্রমেই এই ঘটনার সঙ্গে জড়াচ্ছেন পুলিশ তা আর বলার জের রাখে না। সারাদিন ধরে চলা এই প্রতিবাদ মিছিলে কোনও রাজনৈতিক রং দেখা যাই নি। গোটা আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের পথে নেমে এই বিক্ষোভ কোথাও গিয়ে শাসকদলের অস্বস্তি ক্রমশ বাড়াচ্ছে। এরপর আদৌ ছাত্র-ছাত্রীদের এই বিক্ষোভ মিছিল মহাকরণের পথে এগোতে পারবে নাকি তাদের সামনে আর এগোতে দেওয়া হবে না তা একমাত্র পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। তবে বিক্ষোভরত ছাত্র-ছাত্রীরা কোনও মতেই এই মিছিল থেকে নিজেদের এই মুহূর্তে সরিয়ে নেবেন না জানাচ্ছেন। তাদের যতক্ষণ না মহাকরণের উদ্দেশ্যে যেতে দেওয়া হচ্ছে না, তারা কোনও ভাবেই পুলিশ দ্বারা প্রভাবিত হবে না, তারা এই খুনের ন্যায় চান, তারা লড়াই করে যাবেন বলছেন তাদের শ্লোগান মারফত।