নিজস্ব প্রতিবেদন, ঝাড়গ্ৰাম: দেবাদিদেব মহাদেবের আবাসস্থল কৈলাশ পর্বত নিয়ে শুধু হিন্দু ধর্ম নয়, সমস্ত ধর্মের মানুষের মধ্যে আবেগ রয়েছে।জানা যায় চেষ্টা করেও কেউ বরফে মোড়া কৈলাসের চুড়ায় উঠতে পারেননি। অসংখ্য মানুষ প্রতি বছর সুযোগ পেলে একবার বরফে ঢাকা কৈলাশ ভ্রমণের চেষ্টা করেন। এবার সেই বরফে ঢাকা কৈলাস শারদোৎসবের অন্যতম থিম।বরফে মোড়া দেবভূমি কৈলাস এবছর ঝাড়গ্ৰাম জেলাবাসী দেখার সুযোগ পাচ্ছেন। নিজের জেলার একটি গ্রামীণ পুজো মন্ডপে।ঝাড়গ্ৰাম ব্লকের সাপধরা ৪ নম্বর অঞ্চলের আঞ্চলিক পুজো প্যান্ডেল এবছর সেজে উঠছে ‘কৈলাশে হর পার্বতী’ থিমে।এই পুজো কমিটির ৫০ বছরের পুজোয় এবছর বরফে ঢাকা কৈলাশে স্থান পাবেন দেবী। প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পুজো কমিটির এবছরের পুজোয় থিমের মন্ডপ সজ্জার পাশাপাশি থাকছে আকর্ষনীয় আলোকসজ্জা। এবং সান্ধ্যকালীন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অষ্টমী থেকে দ্বাদশী পর্যন্ত থাকছে বিভিন্ন শিল্পীর অনুষ্ঠান বলে জানান পুজো কমিটির উদ্যোক্তাদের মধ্যে অম্বিকা প্রসাদ মাহাত ও জগদীশ মুর্মু। তাঁরা বলেন,গত দুবছর করোনা মহামারির জন্য পুজো সেভাবে হয়নি। এবছর তাই বেশ পঞ্চাশ বছরের পুজো বেশ জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে হবে। সাধারণ দর্শকদের কাছ থেকেও ভাল সাড়া পাব আশা করছি।সাপধরা আঞ্চলিক পুজো কমিটির ‘কৈলাশে হর পার্বতী’ থিমের মন্ডপ তৈরির কাজ জোর কদমে চলছে। সাপধরা অঞ্চলের ঢোলকাঠ গ্রামের প্রনবানন্দ নিম্নবুনিয়াদী বিদ্যালয়ের মাঠে। শিল্পী আশিষ চক্রবর্তী তার কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রাত দিন পরিশ্রম করে পরিবেশ বান্ধব সামগ্রী চট, সিমেন্ট, সিনথেটিক তুলো,খড়, রং ইত্যাদি দিয়ে ফুটিয়ে তুলছেন বরফাবৃত কৈলাস।থিম মেকার আশিষ চক্রবর্তীর কথায়, পরিবেশ বান্ধব সামগ্রী ব্যবহারে জোর দেওয়া হচ্ছে। সিনথেটিক তুলোর উপর রং করে বরফের দৃশ্য আনা হবে।পুজো কমিটির তরফ থেকে জানা গেছে সাপধরা আঞ্চলিক এই পুজোয় প্রতি বছর এলাকার প্রায় ২৭ টি গ্রামের মানুষ শারদোৎসবে মেতে উঠেন।