নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম: কয়েকদিন ধরে মেদিনীপুর বন বিভাগের অন্তর্গত লালগড় রেঞ্জের কুমিরকাতা, লক্ষণপুর, গঙ্গাদাসপুর, কন্যাবালির জঙ্গলের বিভিন্ন এলাকায় অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছিল। যার ফলে ওই এলাকার বাসিন্দারা ওই অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ বাঘের পায়ের ছাপ বলে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। এদিন এলাকায় বন বিভাগের পক্ষ থেকে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু সোমবার সকালে কুমিরকাতার জঙ্গলে যেমন গবাদি পশুর দেহাংশ পাওয়া যায়। তেমনিকুমিরকাতা সহ ঐএলাকার গ্রামগুলির লোকালয়ে সোমবার অজস্র অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ লক্ষ্য করা যায়।পাশাপাশি কন্যাবালি গ্রামের বাসিন্দা আশীষ মাহাতোর বাড়ির উঠোনে সোমবার সকালে অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ দেখতে পায় তার পরিবারের লোকেরা। যার ফলে ওই এলাকার বাসিন্দারা রীতিমতো আতংকের মধ্যে রয়েছে।
বাড়ির উঠোনে ফের বাঘের পায়ের ছাপ?
আর বাঁকুড়া থেকে নতুন করে ১২ টি হাতি প্রবেশে আতঙ্ক বেড়েছে মানুষের। এলাকা জুড়ে ফের নতুন করে বাঘের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। গ্রামবাসীরা কার্যত গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। বাড়ির গবাদিপশু কেউ জঙ্গলে নিয়ে যেতে চায় নি, ঘরের মধ্যে আটকে রেখেছেন। 2018 সালের স্মৃতি ফের ফিরে এসেছে বলে ওই এলাকার বাসিন্দারা জানান। তাই ওই এলাকার বাসিন্দারা বাঘের আতঙ্কে আশঙ্কার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। বন দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ওই অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ নেকড়ে বা অন্য কোনো বড় ধরনের জন্তুর, কিন্তু বাঘের নয়।ব্যবস্থা সেই অর্থে নেয়নী বনদপ্তর তা সত্বেও স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা অজানা জন্তুর ছাপকে কেন্দ্র করে।
ফের বাঘের পায়ের ছাপ?
তাই জঙ্গল থেকে খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছ । লোকালয়েওই অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ দেখতে পাওয়ায় চরম সমস্যায় পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। যার ফলে কার্যত গৃহবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। তবে বন দফতরের পক্ষ থেকে ওই এলাকার বাসিন্দাদের সচেতন থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অযথা জঙ্গলে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বন দফতরের কর্মীরা নজরদারি শুরু করেছে। বন দফতরের পক্ষ থেকে অজানা জন্তুটিকে ধরার জন্য ঘটনা স্থলে জাল, খাঁচা সহ বিভিন্ন জিনিস নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারাও বাড়ি থেকে বেরোলে একসঙ্গে দলবেঁধে লাঠি হাতে করে রাস্তায় যাতায়াত করছে। যার ফলে বাঘের আতংকে আতংকের মধ্যে রয়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা।