কলকাতা:- ফের কোভিডের চোখ রাঙানি সারা বিশ্বজুড়ে। এ রাজ্যও তার ব্যতিক্রম নয়। প্রতিদিনই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা উত্তর উত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এহেন পরিস্থিতিতে প্রশাসনের ঘুম উড়েছে। বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রশাসনিক বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ও এবিষয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এদিকে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে এতদিন কোভিড বিধি মেনে চলছিল মা ভবতারিণীর পূজার্চনা। তাছাড়া দর্শনার্থীরাও নিয়ম মেনেই পুজো দিচ্ছিলেন। কিন্তু করণা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ পয়লা জানুয়ারি কল্পতরু উৎসবের দিন দক্ষিণেশ্বর মন্দির বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। ১লা জানুয়ারি
১লা জানুয়ারি কল্পতরু উৎসবের দিন বন্ধ থাকছে দক্ষিণেশ্বর মন্দির
এ বিষয়ে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের ওছি পরিষদের সম্পাদক কুশল চৌধুরী এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে রাজ্যে করোণা সংক্রমনের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। সেই কারণে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট ও বেলঘড়িয়া থানার আধিকারিকের নির্দেশ মেনে,আগামী পয়লা জানুয়ারি উৎসবের দিন মন্দির বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব ও মা সারদার কক্ষে বিধি মেনেই চলবে পূজার্চনা। প্রতি বছরই কল্পতরু উৎসবের দিন মন্দির চত্বরে প্রবল জনসমাগম হয়। এবার করোণা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায়, ঝুঁকি নিতে নারাজ মন্দির কর্তৃপক্ষ।
আরও খবর: রাজ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ, বন্ধ স্কুল কলেজ ?
বেলডাঙ্গায় প্রাথমিকে সাড়া ফেললো “দুয়ারে ভর্ত্তি করণ কর্মসূচী” এখনও প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার কোন আদেশনামা জারি হয়নি। দীর্ঘ দুই বছর স্কুল বন্ধ উচ্চ বিদ্যালয়ে শিশু শ্রমিক ও স্কুল ছুট সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। রাজ্য বহু স্কুল ছাত্রের অভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছেবেসরকারী স্কুলে বেতন বৃদ্ধি ,অর্থ সংকট এ পরিবার শিক্ষার প্রতি অনীহা ক্রমশঃ বাড়ছে ।সরকারী প্রাথমিক শিক্ষা ক্রমশঃ কোমায় ।সরকারী বনাম বেসরকারী বিদ্যালয়ে পরিষেবা ফলে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রমশঃ ছাত্র সংখ্যা কমছে। করোনার জন্য বিদ্যালয় বিমুখ ছাত্র ছাত্রীদের বিদ্যালয় মুখ করতে।
উচ্চ বিদ্যালয়ে উপস্থিত হার তলানিতে ঠেকেছে এমতপরিস্থিতিতে মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙা চক্রের ৩০ নং আণ্ডিরণ প্রাথমিক বিদ্যালয় নিল আবারও অভিনব উদ্যোগ। এবার দুয়ারে শিশু ভর্ত্তিকরণ ,বই বিতরণ ও চারাগাছ প্রদান কর্মসূচীতে গ্রামবাসীর মন জয় করে নিল স্কুল কর্তৃপক্ষ ।শিক্ষকরা যাচ্ছেন আণ্ডিরণ গ্রামের অলি গলিতে, সাথে বড় ব্যানার । কোভিড বিধি মেনে থার্মালগ্যান দিয়ে শরীরের উষ্ণতা পরখ করে নিচ্ছেন শিক্ষকরা। মাস্ক পরে দূরত্ব বজায় রেখে চলছে ভর্ত্তিকরণ সাথে ব্যানারে লিপিবদ্ধ আছে কেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের ভর্ত্তি করবেন ও কি কি সুযোগ সুবিধা দেবে বিদ্যালয়।
দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে পড়ুয়াদের নতুন ক্লাসে ভর্তি, অভিনব উদ্যোগ মুর্শিদাবাদে
ভর্ত্তি ফর্ম পুরণ করে রেজিস্টারে নাম তুলে নিচ্ছেন শিক্ষকরা । সাথে একটা করে চারাগাছ তুলে দিচ্ছে অভিভাবকদের হাতে। উৎসাহীত করছেন গাছ লাগাতে। বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করলে পাবে ডিজিটাল ক্লাসের সুবিধা, খেলাচ্ছলে শিক্ষা,অভিনব ঠাকুরদা ঠাকুরমা গল্পের আসর,মাস ভিত্তিক জন্মদিনে বাবা মা সহ শিক্ষকদের আশীর্বাদ, উন্নত মিড ডে মিল, হাতে কলমে শিক্ষা, তপবন আঙ্গিনায় মানুষ হবার মন্ত্র, নিত্য নতুন কর্মকাণ্ডে সামিল হওয়ার সুযোগ। ইতিমধ্যে শিক্ষা জগতে এই বিদ্যালয় জেলায় আলাদা যায়গা করে নিয়েছে।
ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে ছাত্র ছাত্রীদের সংখ্যা। প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ দত্ত জানালেন মুর্শিদাবাদ জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ ও মাননীয় সংসদ সভাপতি মাটির মানুষ নিরহঙ্কার কাজের মানুষ শ্রী আশীষ মার্জিত মহাশয় এর অনুপ্রেরণায় আজ আমরা গ্রামের দুয়ারে উপস্থিত হয়েছি আগামীতে উনার নির্দেশে জেলায় বহুমুখী নিত্য নতুন কর্মকাণ্ড শুরু হবে আমরা তার মতাদর্শ অনুসারে জেলার শিক্ষার মান ও শিশুদের কাঙ্ক্ষিত মানে পৌঁছাতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবো।
এই দিন এই ভর্ত্তিকরণ কর্মসূচীতে ১৫ জন শিশু কে প্রাক প্রাথমিকে ভর্ত্তি করা হয়েছে বলে জানালেন শিক্ষক অর্ণব সরকার। অভিভাবকরা শিক্ষক দের এই অভিনব ভর্ত্তিকরণ কর্মসূচী দেখে আপ্লুত ।তাদের কথায় এই ভাবে ভাবলে সমাজ ও শিশুরা পিছিয়ে পরবে না। শিক্ষক অমিত রায়, রাজেন্দ্র প্রামাণিক ও নবাগত শিক্ষক অর্ণব সরকার জানালেন আগামী ৩রা জানুয়ারি থেকে ৭ই জানুয়ারি এই কর্মসূচী চলবে সাথে নববর্ষে নুতন বই শিক্ষার্থীদের দুয়ারে এসে পৌঁছিয়ে দেবেন।