করোনার জ্বালায় আগে থেকেই জর্জরিত মানুষ, নতুন উপদ্রব হাতির আক্রমণ। দুর্দশা চরমে পৌঁছেছে ঝাড়গ্রামের মানুষের।
একের পর এক হাতির উপদ্রব-এর ঘটনায় স্তম্ভিত ঝাড়গ্রামের সাধারণ মানুষ। এবার গজ আক্রমণ হানলো ঝাড়গ্রাম জেলার ঝাড়গ্রাম ব্লকের কালবনি এলাকায়। মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। জানা গিয়েছে, ১৩ জুন, রবিবার সকালে পাঁড়ু মাহাতো (৭০) নামে এক প্রৌঢ় ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে হাতির আক্রমণে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র গতিতে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এদিন সকালে সাইকেলে করে কাজের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন পাঁড়ু। কিছুদূর এগোতেই কলাবনি রাস্তার উপর এক দাঁতাল হাতি পিছন দিক দিয়ে তার উপর হামলা করে, শুঁড় দিয়ে আছড়ে ফেলে তাকে। এই ঘটনাতেই মৃত্যু হয় বৃদ্ধের।
ঘটনায় প্রভাবে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। বৃদ্ধের মৃত্যু শোকস্তব্ধ জনতা অবরোধ বিক্ষোভ শুরু করে। কলাবনি এলাকায় পাঁচ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বাসিন্দারা। যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ঝাড়্গ্রাম থানার পুলিশ। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, এই এলাকায় প্রতিনিয়ত একের পর এক হাতি হামলা চালাচ্ছে। বনদপ্তর কে বারবার এই বিষয়ে জানানো সত্ত্বেও তাদের পক্ষ থেকে হাতিগুলোকে অন্যত্র পাঠানোর জন্য কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই বনদপ্তর এর উপর ক্ষুব্ধ এলাকার স্থানীয় মানুষ। কলাবনি এলাকায় বেশ কয়েকটি আমের বাগান রয়েছে, এছাড়াও রয়েছে বেশ কিছু ফলের বাগান, গ্রীষ্মের সময় এই সমস্ত বাগানে একের পর এক হাতি তাণ্ডব চালায়। হাতির তাণ্ডবে অতিষ্ঠ বাসিন্দারা। বড় দফতরের পক্ষ থেকে মৃতের পরিবারের একজনকে চাকরি ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। রবিবার ঘটনার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ ও বনদপ্তর-এর অধিকর্তারা স্থানীয় মানুষকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। বনদফতরের ক্ষতিপূরণের আশ্বাসে স্থানীয় জনগণ পথ অবরোধ তুলে নেয়। ঝাড়্গ্রাম থানার পুলিশের সাহায্যে পাঁড়ু মাহাতোর দেহটি উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। পাঁড়ু মাহাতোর পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এই ঘটনায়।