শিলিগুড়ি: প্রিয়জন হারানোর শোক শুধু মানুষের নয় পশুদেরও হয়। পথ দুর্ঘটনার কবলে থেকে বাদ পড়ছে না পথ পশুরা। এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালো একটি ষাঁড়। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে, সোমবার ফুলবাড়ী সংলগ্ন এলাকায়। জানা গিয়েছে এদিন শিলিগুড়ি থেকে ফুলবাড়ী দিকে যাচ্ছিল একটি বাস। এর পর হঠাৎই ফুলবাড়ী সংলগ্ন এলাকায় ষাঁড়টিকে ধাক্কা মারে বাসটি। এরপর ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় ষাঁড়টির। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ এরপর থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় সম্পূর্ণ ঘটনা তদন্তে নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ।
শিলিগুড়িতে বন্ধুর মৃত্যুতে শোকে শোকাহত ষাঁড়
প্রিয়জন হারানোর শোক শুধু মানুষের নয় পশুদেরও হয়। এদিন এমনই চিত্র ধরা পড়ল শিলিগুড়ি ফুলবাড়ি সংলগ্ন এলাকায়। বন্ধুর মৃত্যুতে শোকাহত হল অপর বন্ধু। এখানে দুটি বন্ধু হল দুটি ষাঁড়। মানুষের মৃত্যুতে অনেক সময় মানুষ কে পাশে দাঁড়াতে না দেখা গেলেও এখানে কিন্তু সম্পূর্ণ ছবিটাই ভিন্ন। উদ্ধারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত কিন্তু অপর ষাঁড় টি মৃত ষাঁড় টিকে ছেড়ে একচুলও নড়েনি। মানুষের পর এবার পশু-পাখিরাও বাদ যাচ্ছে না সড়ক দুর্ঘটনার হাত থেকে।
আরও খবর: বিরল দৃষ্টান্ত! একই সঙ্গে এক মা জন্ম দিলেন তিন শিশুর
আরও খবর: ভারতীয় কন্যার বিশ্বজয় , মিস ইউনিভার্স খেতাব জিতলেন হরনাজ কৌর সান্ধু
সুন্দরবনে পুরোনো কেল্লার ডোঙাজোড়া গ্রামে বাঘের আতঙ্ক
সুন্দরবন কুলতলির পিয়ালি নদীর ধারে ডোঙ্গাজোড়া গ্রাম। সেখানে পুরনো কেল্লার আশেপাশে শোনা যাচ্ছে বাঘের গর্জন। এলাকায় পায়ের ছাপও মিলেছে বলে দাবি বন দফতরের। শীতের মরশুমে কেল্লায় আসেন বহু পর্যটক। নিরাপত্তার কারণে তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বাঘ ধরতে জাল দিয়ে নদী ঘেরার কাজ শুরু হয়েছে জোরকদমে। গতকাল কুলতলির ৫ নম্বর গরানকাঠি এলাকায় কাঁকড়া ধরতে যাওয়া এক মহিলা বাঘ দেখতে পান বলে দাবি করেন। খবর পেয়ে সেখানে যান বন দফতরের কর্মীরা। বাঘ বন্দি করতে খাঁচা পাতা হয়।
বসে রাত পাহারা। তবে এখনও পর্যন্ত ধরা দেয়নি রয়্যাল বেঙ্গল। গরানকাঠির জঙ্গল থেকে বেরিয়ে পিয়ালি নদী পেরিয়ে বাঘটি কাছের ডোঙ্গাজোড়া গ্রামে ঢুকে পড়েছে বলে জানিয়েছেন বন দফতরের কর্মীরা। এলাকায় বিশাল বাহিনী নিয়ে আছেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ডিভিশানাল ফরেস্ট অফিসার শ্রী মিলন কান্তি মন্ডল মহাশয়, এ ডি এফ ও শ্রী অনুরাগ চৌধুরী, আছেন বন দপ্তরের অন্যান্য আধিকারিক এবং কর্মীরা। তারা পুরো এলাকা জাল দিয়ে ঘিরে রেখেছে এবং দুটি খাঁচা পাতা হয়েছে তার মধ্যে ছাগল রাখা হয়েছে। প্রশাসনের তরফে এলাকায় মাইকিং করে এলাকাবাসীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বন দপ্তরের কর্মীরা দক্ষতা এবং তৎপরতার সাথে কাজ করে চলেছেন, আশা করা যায় শীঘ্রই বাঘ বন্দী হবে।
তবে এলাকার মানুষের দাবি যে সুন্দরবনের এই অঞ্চলে যে বাঘ আসতে পারে এটা তারা ভাবতেই পারছেন না। বিগত ত্রিশ পঁয়ত্রিশ বছরের মধ্যে এই অঞ্চলে বাঘ আসেনি। এই ঘটনায় এলাকাবাসীদের আতঙ্ক গ্রাস করেছে। যদিও বন দপ্তরের তরফে তাদের আশ্বস্ত করা হচ্ছে।