স্টাফ রিপোর্টার, গোপীবল্লভপুর: তবে দুঃখের বিষয়, এখনো অনেক মানুষ অসচেতন! সঠিকভাবে মাস্ক না পড়ে বাড়ির বাইরে বেরোনো মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। অনেক মানুষ বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন প্রয়োজন ছাড়াই। যা সত্যিই উদ্বেগের বিষয়। কিন্তু লকডাউন কড়াকড়িভাবে কার্যকর করতে মরিয়া ঝাড়গ্রাম জেলার প্রত্যেকটি থানার পুলিশ। জানা যাচ্ছে, সেখানে পাস বা ইপাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোন জরুরী কালীন অবস্থায় কোথাও যেতে হলে, থানা থেকে পারমিশন নিতে হবে মানুষকে। অপ্রয়োজনীয়ভাবে, নিয়ম না মেনে মানুষের দেদার ঘুরে বেড়ানো রুখতে পুলিশ কর্তৃক এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আজ বেলিয়াবেরা থানার পুলিশ রান্টুয়া বাজারের নাকা চেকিং-এর ব্যবস্থা করেন। সেখানে স্বয়ং ওসি সুদীপ পালধি উপস্থিত থেকে মানুষকে সচেতনতার পাঠদান করেন। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তিনি কড়া লকডাউনের পক্ষপাতী নন। কিন্তু মানুষ কোভিড নিয়ম মেনে চলুক, সেটাই তিনি চান। তবে তার এই বার্তায়, কার্যত মেটেনি সমস্যা। রোজই ক্রমশ বেড়ে চলেছিল কোভিডের সংক্রমণ। এমনকি রীতিমতো আশঙ্কাজনক হয়ে উঠেছিল মৃত্যুর সংখ্যাও। প্রতিদিনই নতুন করে করোনার শিকার হচ্ছিলেন প্রায় শতাধিক মানুষ। সেই কারণেই শেষপর্যন্ত সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে গত ১৫ মে ১৫ দিনের জন্য রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা করেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারের রননীতি ছিল, অর্থনীতিও যাতে কিছুটা সক্রিয় থাকে এবং সাথে সাথে মানুষকেও যাতে কিছুটা সুরক্ষা দেওয়া যায়। সেই ১৫ দিনের লকডাউনের মেয়াদ গত ২৭ শে মে আরও ১৫ দিন বৃদ্ধির ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়়।
লকডাউন সফল করতে পুলিশের কড়া নজরদারি
RELATED ARTICLES