নিজস্ব প্রতিনিধি, গঙ্গাসাগর: রাজ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ ও ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনিতেও রাজ্যে এক লাফে করোনার আক্রমনের সংখ্যা এক লাফে দ্বিগুণ হয়েছে। তার পাশাপাশি সারা ভারতের ক্ষেত্রেও দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। আর এই নিয়ে চিন্তিত রাজ্য প্রশাসন। প্রয়োজনে স্কুল-কলেজ বন্ধ ও অফিস আদালতে হাজিরার সংখ্যা কমানোর কথা চিন্তা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শীঘ্রই কমানো হতে পারে লোকাল ট্রেনের সংখ্যাও। চিন্তাভাবনা চলছে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল নিয়ে।
আরও খবর: দালালি বন্ধ করুন, থানার ওসিকে হুমকি বিধায়ক হুমায়ুনের
গতকালই গঙ্গাসাগরে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী। আজ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার প্রশাসনিক বৈঠক হয় সাগরে। সেখানে বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে আলোচনার সময় করোনার প্রসঙ্গও উঠে আসে। রাজ্যে যেভাবে করোনার প্রকোপ বাড়ছে তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিশেষ করে স্কুল কলেজ বিষয় নিয়ে খুব শীঘ্রই শিক্ষা সচিবের সঙ্গে পর্যালোচনা করার নির্দেশ দেন। প্রয়োজনে কিছু দিনের জন্য স্কুল কলেজ বন্ধ রাখার পরামর্শ দেন তিনি।
এর পাশাপাশি কলকাতায় করোনা আক্রান্তের ঘটনা নিয়ে তিনি বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বললেন। প্রয়োজনে তিনি ওয়ার্ড ভিত্তিক কনটেইমেন্ট জোনের বিষয়টিকে পর্যালোচনা জন্য মুখ্যসচিকে নির্দেশ দেন তিনি। আগামী ৩রা জানুয়ারি থেকে এই বিষয়ে কার্যকরী করার কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী।
করোনা পরিস্থিতিতে গঙ্গাসাগর মেলা নিয়েও যে তিনি বেশ চিন্তিত, তা মুখ্যমন্ত্রীর কথাতেই বোঝা গিয়েছে। মেলা চত্বরে মাস্ক বাধ্যতামূলক করার কথা বললেন তিনি। পাশাপাশি ট্রেনেও সবসময় মাস্ক পড়ার উপর জোড় দেওয়ার কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী। করোনার প্রকোপ বাড়লে ট্রেন কমানোর চিন্তাভাবনা করা হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
শান্তিপুর ফুলিয়া জাতীয় সড়কে বাস দুর্ঘটনায় মৃত্যু শিশুর
বুধবার ফের জাতীয় সড়কে বাস দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক শিশুর। এছাড়াও আহত হয়েছেন মহিলা সহ একাধিক যাত্রী। মৃত্যু শিশুর পরিচয় জানা যায়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে এদিন নদিয়ায় ভয়াবহ পথদুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেল যাত্রী বোঝাই লোকাল বাস। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক শিশুর, আহত একাধিক ব্যক্তি। এছাড়াও আশঙ্কাজনক অবস্থায় বেশ কয়েকজনকে রানাঘাট শান্তিপুর এছাড়াও ফুলিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনাটি শান্তিপুর ফুলিয়া ফুলিয়া পাড়া বেলঘড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে। জানা যায় কৃষ্ণনগর রানাঘাট গামী একটি লোকাল বাস শান্তিপুরের দিকে যাচ্ছিল ঠিক তখনই শান্তিপুর ফুলিয়া বেলঘড়িয়া একনম্বর পঞ্চায়েতের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক শিশুর, আহত হয় একাধিক ব্যক্তি এছাড়াও বেশ কয়েকজন আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের প্রত্যেককেই শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল ও রানাঘাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
যদিও এলাকা স্থানীয়দের দাবি বাসটি অতি দ্রুত গতিতে আসছিল রাস্তা খারাপ থাকার কারণে চালকের ভুলের কারণে নিয়ন্ত্রণ হারায় এর পরেই পাল্টি খায়। ঘটনাস্থলে আসে শান্তিপুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী এছাড়াও ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসে শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী। নদীয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুন্ডু সহ তৃণমূলের একাধিক নেতৃত্ব।