স্টাফ রিপোর্টার, পুরুলিয়া: ‘হীরক রাজা’ নয়, ‘আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে’-কে পাথেয় করেছেন পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদার। মা মাটি মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে করোনা অবস্থাতেই একেবারে মাঠে নেমে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প গুলি বাস্তবায়িত করছেন তিনি। ১৩ জুন, রবিবার ঝালদা ও বাঘমুন্ডি ব্লকের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে ‘মাটির সৃষ্টি’ প্রকল্পের কাজ খুঁটিয়ে দেখলেন তিনি। পাশাপাশি খোঁজ নেন এলাকার করোনা পরিস্থিতির। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে মিটিং করে অন্যান্য সরকারি পরিষেবাগুলির অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন তিনি। জেলাশাসকের এমন কর্মঠ উদ্যোগে বেজায় খুশি এলাকার সাধারণ মানুষ।
প্রসঙ্গত, এদিন সকালে রাহুল মজুমদার প্রথমে ঝালদা এক নম্বর ব্লকের দড়দা গ্রাম পঞ্চায়েতের নওয়াগড় গ্রামে যান। জানা গেছে, মাটির সৃষ্টি প্রকল্পে বর্তমানে বিভিন্ন আনাজ যেমন- বেগুন, লঙ্কা ইত্যাদি লাগানোর কাজ চলছে ওই অঞ্চলে। শোনা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই পুকুর খনন করে মাছ চাষ ও করা হবে। ইতিমধ্যেই ওই অঞ্চলে ফলের বাগান তৈরি করা হয়েছে। সেই সমস্ত বাগানে আম জাম সহ বিভিন্ন গাছ লাগানো হয়েছে। এছাড়াও হাঁস ও ছাগল পালন প্রকল্প শুরু করবার প্রচেষ্টা চলছে। এই সমস্ত প্রকল্পের কাজ ঘুরে দেখার পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দা ও শ্রমিকদের সাথে সরাসরি কথা বলেন জেলাশাসক। শকুন্তলা মান্ডি, সুনিতা সিং মুড়ারা জানান পারিশ্রমিক সংক্রান্ত কোন সমস্যা তাদের নেই। এরপরই তিনি ওই অঞ্চলের প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। সেখানে চিকিৎসক ও কয়েকজন রোগীর সাথে তিনি কথা বলেন। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর অন্যতম আরেক প্রকল্প কন্যাশ্রী নিয়ে মেয়েদের সঙ্গে কিছু কথা বলেন। তার পরই তিনি ঝালদা এক নম্বর ব্লক অফিসে আধিকারিকদের নিয়ে একটি প্রশাসনিক মিটিং করেন। তারপরই বাগমুন্ডি ব্লক-এর উদ্দেশ্যে তিনি রওনা দেন। সূত্রের খবর, দুটি ব্লকের বৈঠক শেষে আধিকারিকদের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে গতি আনতে নির্দেশ দেওয়া হয় তার পক্ষ থেকে। তিনি নিজে জানান, দুটি ব্লক পরিদর্শনের পাশাপাশি ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। বাংলা আবাস যোজনা, জাতিগত শংসাপত্র, রেশন সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের কাজ যাতে দ্রুত গতিতে এগোয় সেই বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ‘মাটির সৃষ্টি’ প্রকল্প নিয়ে ভীষণ উচ্চাকাঙ্ক্ষী স্থানীয় মানুষ। তারা আশাবাদী, এই প্রকল্পের দ্বারা নতুন অর্থনৈতিক লাভের মুখ দর্শন হবে। পুরুলিয়া জেলা শাসকের এই উদ্যোগে পায়ে পা মিলিয়েছেন ঝালদা মহকুমা শাসক সুবর্ণ রায় সহ সংশ্লিষ্ট ব্লকের আধিকারিকেরা।