ঝাড়গ্রাম: জঙ্গলমহলের রাজনীতিকে পাখির চোখ করে ময়দানে নেমেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কিন্তু ঝাড়গ্রামের জনসভায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভার লোকসমাগমকে টেক্কা দিতে পারলেন না। মঞ্চের ভেতরে হাতে গোনা ছত্রিশ শত চেয়ার আর দাঁড়িয়ে থাকা কিছু মানুষজনকে নিয়ে সভা সাঙ্গ করতে হলো নরেন্দ্র মোদিকে। অপরদিকে ঝাড়গ্রামের গজাশিমুলে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছিল । তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না নির্বাচনী জনসভায়।
গত 17 মে ঝাড়গ্রাম লোকসভা আসনে তৃনমূল প্রার্থী কালীপদ সরেনের সমর্থনে প্রচারে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই সভাতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছিল মূখ্যমন্ত্রী এর সভায়। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয়, গতকালই এই লোকসভা আসনের বিজেপি প্রার্থী টুডু এর সমর্থনে ঝাড়গ্ৰামে সভা করতে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর সেই সভাতে সেভাবে জনসমর্থন লক্ষ্য করা যায়নি,যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে উঠছে প্রশ্ন? সম্প্রতি অভিষেক বন্দোপাধ্যায় এর হাত ধরে বিজেপি ছেড়ে তৃনমূল এ যোগদান করেন ঝাড়গ্রাম এর সাংসদ কুনার হেমব্রম,তাহলে কী এই প্রভাব ই পড়ল ঝাড়গ্রাম লোকসভা আসনে প্রধানমন্ত্রী এর সভায়,যা নিয়ে নানা প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তবে এই বিষয়ে তৃনমূল কর্মীদের দাবি, প্রধানমন্ত্রী প্রচারে এলেও বিজেপি এর হার নিশ্চিত। মুখ্যমন্ত্রীর সভা থেকেই তা একেবারে পরিস্কার। মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়ন এর স্বার্থেই এবার ঝাড়গ্রাম এর ভোট হবে। কোনো দাঙ্গাবাজ, সাম্প্রদায়িক দলএই আসনে আর স্থান পাবে না।