Monday, December 2, 2024
- Advertisment -spot_img

ভুয়ো ডিএসপি সেজে প্রতারনায় গ্ৰেপ্তার এক যুবক

স্নোয়ী ভৌমিক, উত্তরবঙ্গ: রাজ্যে ফের ভুয়ো অফিসার, ভুয়ো পুলিশ (Police) সেজে তোলপাড় শুরু। রাজনৈতিক দোষারোপ শুরু হয় ঘটনা কেন্দ্র করে। অনেক রাজ্যই প্রতারণা কান্ডে জড়িত এবার তার সাথে জড়িত হল মালদা (Malda) জেলার গাজোলের নাম। গাজোলের মাকশোল গ্ৰামে এক ব্যক্তি পুলিশের চাকরি দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা লুঠ করেন তারই দায়ে ওই ব্যক্তিকে গ্ৰেপ্তার করল পুলিশ। স্থানীয় তদন্ত করে জানা যায় ধৃত ব্যক্তি আগে কলকাতা পুলিশে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু দীর্ঘদিন আগেই সে এলাকা ছেড়ে ছিলেন।

নিজস্ব চিত্র

ভুয়ো ডিএসপি সেজে প্রতারনায় গ্ৰেপ্তার এক যুবক

বিভিন্ন সময়েই কলকাতা (Kolkata) পুলিশ গ্ৰামে তাঁর খোঁজ করতে আসেন। বুধবার শেষমেশ কলকাতা পুলিশের হাতে গ্ৰেপ্তার হয় ওই ব্যক্তি। তার প্রতারণা চক্র চলেছিল ভুয়ো ডিএসপি সেজে। এই চক্রে তার সাথে ছিল আরও তিনজন ব্যক্তি, যারা এই রাজ্যেরই বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা।

তাদেরও কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police) গ্ৰেপ্তার করেন। প্রতারণা কান্ডে জড়িত কলকাতা পুলিশ কর্মীর নাম রবি মুর্মু (Rabi Murmu) (৪০)। রবি মুর্মু গ্ৰেপ্তারির খবর এলাকায় এড়াতে সেখানে চাঞ্চল্য শুরু হয়। গ্ৰামবাসীদের কথায়, এমন হওয়ার ছিল। পুলিশের চাকরিতে কর্মরত হওয়ার পর থেকেই গ্ৰামের বহু লোকাল মানুষকে চাকরি দেওয়ার নামে ঠকিয়ে ছিল, তারপর থেকেই গ্ৰামে পা রাখেনি রবি। এদিন তার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে কেউ নেই, বাড়ি তালা বন্ধ।

গ্ৰামের বাড়িতে একা থাকেন রবি মুর্মুর বৃদ্ধা মা ছামি হাসদা। তবে সেই সময় তিনিও বাড়িতে ছিলেন না। গ্ৰামবাসী জানিয়েছেন, রবি খুব ভালো খেলোয়াড়,অ্যাথলিট এবং ফুটবল খেলতেন। খুব পরিশ্রমে চাকরি পেয়েছিলেন কিন্তু চাকরি যাওয়ার কয়েক বছরের মাথায় সে পাল্টে যেতে থাকে। এরপর চাকরি দেওয়ার নামে বিভিন্ন মানুষের কাছে থেকে টাকা হারিয়েছিল রবি। সূত্রের খবর অনুযায়ী,উচ্চ পদস্থকারী সরকারী কর্মীর পরিচয়ে প্রতারকরা টাকা সংগ্ৰহ করেছিল হোম গার্ড, কন্সটেবল প্রভৃতি পদে চাকরি দেওয়ার নামে। প্রাথমিক তদন্ত করে পুলিশের অনুমান অনুযায়ী তারা ৩৫লক্ষ টাকা সংগ্ৰহ করেছিল।

Read More – ত্রিপুরায় অভিষেক ব্যানার্জির উপর হামলার প্রতিবাদে লালগড়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কুশপুতুল দাহ করে বিক্ষোভ তৃণমূলের

টাকা দিয়ে চাকরি না পেয়ে এক যুবক কলকাতার বউবাজার থানায় অভিযোগ জানায়। সেই অভিযোগের জেরেই পুলিশ তদন্ত করে গ্ৰেপ্তার করে মুর্শিদাবাদের (Mursidabad) সোনাডাঙ্গা গ্ৰামের বাসিন্দা মাসুদ রানা (২৪), উত্তর ২৪পরগনার সোনাটিকারি গ্ৰামের বাসিন্দা শুভ্রনাগ রায় (৪৪), পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Mednipur) খিরিন্দা গ্ৰামের বাসিন্দা। পরিতোষ বর্মন (৫০) এবং মালদা জেলার গাজোল থানার মাকশোল আদিবাসী পাড়ার বাসিন্দা রবি মুর্মুকে(৪০)। অপরাধীদের কাছে থেকে পাওয়া যায় ভুয়ো পরিচয়পত্র, নিয়োগপত্র, পুলিশের পোষাক, টুপি প্রভৃতি।

RELATED ARTICLES

कोई जवाब दें

कृपया अपनी टिप्पणी दर्ज करें!
कृपया अपना नाम यहाँ दर्ज करें

spot_img

Most Popular

Recent Comments