স্টাফ রিপোর্টার, ঝাড়গ্রাম: ডাক্তার বিধায়কের তৎপরতায় বহুদিনের বন্ধ অচলায়তন খুললো আবার। বহুদিন ধরে ডাক্তারে না আসায় চন্দ্রী গ্রামের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এবার সেই স্বাস্থ্যকেন্দ্র আবার চালু হলো।
করোনা পরিস্থিতিতে নাজেহাল চন্দ্রী গ্রামের বাসিন্দারা। তাদের গ্রামের একমাত্র উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে কোন ডাক্তার থাকেনা। ফলে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হতেন স্থানীয় মানুষ। কোন ডাক্তার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে না আসার জন্য জরুরী কালীন অবস্থায় খুব সংকটে পড়ত মানুষ। তাদের জঙ্গল পেরিয়ে আসতে হতো ঝাড়গ্রাম শহরে। তার ফলে রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হতো। রাতে হঠাৎ করে যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়তেন, তাকে নিয়ে পড়তে হতো ভীষণ সমস্যায়। জীবন হাতে করে সেই রোগীকে নিয়ে আসতে হতো ঝাড়গ্রামে। এবং তা ছিল অত্যন্ত সমস্যার। কারণ দুপাশে ঘন জঙ্গল পেরিয়ে আসতে হয় শহরে। রাস্তায় হাতির উপদ্রব, সাপের ভয় এসব উপরি পাওনা তো আছেই। গ্রামবাসীদের অভিযোগ সিএমওএইচ এবং বিএমওএইচ- কে একাধিকবার অভিযোগ করেও কোন সুরাহা হয়নি। বরং বারংবার দুর্ব্যবহারের শিকার হয়েছেন এলাকার মানুষ। এরপরই জোট বদ্ধ হয়ে গ্রামবাসীরা তাদের এলাকার বিধায়ক ডাক্তার খগেন্দ্র নাথ মাহাতো- এর দ্বারস্থ হন। ডাক্তার বিধায়ককে যাবতীয় বিষয় খুঁটিয়ে বলেন তারা। অবিলম্বে হাসপাতাল চালুর প্রতিশ্রুতি চান তারা। বিধায়ক তাদের আশ্বাস দেন, তিনি হাসপাতাল নিজে ভিজিট করে সিদ্ধান্ত জানাবেন। সেইমতো ২ জুন, বুধবার, নিজে চন্দ্রী হাসপাতাল ভিজিট করে দেখেন তিনি। এই দিন সকালে হাসপাতালে পৌঁছে তিনি দেখেন তখনো হাসপাতলে কোন ডাক্তার পৌঁছায়নি। সেখান থেকেই ফোন করে বিএমওএইচ কে ডেকে পাঠান তিনি। বিধায়ক ও গ্রামবাসীদের সামনে অপ্রস্তুত অবস্থার শিকার হন বিএমওএইচ। কেন কোন ডাক্তার সেই হাসপাতালে আসেনা; তার কোনও সঠিক জবাব দিতে পারেননা বিএমওএইচ। তবে এবার থেকে প্রতিদিন চন্দ্রী হাসপাতালে ডাক্তার থাকবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। বিধায়ক ডাক্তার খগেন্দ্র মাহাতো দীর্ঘদিনের এই সমস্যার সমাধান করায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন চন্দ্রী গ্রামের মানুষ।