স্টাফ রিপোর্টার, ঝাড়গ্রাম: ১৩ জুন, রবিবার বজ্রাঘাত প্রাণ নিলো দুই ব্যক্তির। জানা যাচ্ছে, ঝাড়গ্রামের জামবনিতে বাজ পড়ে মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। আসন্ন বর্ষার কথা ভেবেই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে সাধারন মানুষ। একের পর এক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছে ঝাড়গ্রামের বাসিন্দারা। কখনও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব, কখনও হাতির তান্ডব আবার কখনও বজ্রাঘাত; সর্বদাই শিরে সংক্রান্তি সাধারণ মানুষের। প্রশাসনের মাথাতেও চিন্তার ভাঁজ!
অলিপুর আবহাওয়া দফতর থেকে রাজ্যে বর্ষার প্রবেশের কথা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিনই বিকেলের পর থেকে কলকাতা-সহ রাজ্যের একাধিক জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির পরিমাণ হালকা থেকে মাঝারি হলেও উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বজ্রপাত। এই বজ্রপাতের কারণে ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গে একদিনে মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের। গতকাল রবিবার দুপুর বেলা বাজ পড়ে মৃত্যু হয় ঝাড়গ্রামের ওই দুই ব্যাক্তির। গুরুতর আহত হন একজন। সূত্রের খবর গত রবিবার দুপুরে জমিতে ধানের বিজ ফেলার কাজ করছিলেন বৃহস্পতি মাহাত এবং মদন রানা।তখনি প্রবল বৃষ্টি এবং বাজ পড়া শুরু হয়। সেই সময়ই বাজ পড়ে মাঠেই লুটিয়ে পড়েন বৃহস্পতি মাহাত এবং মদন রানা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাদের মৃত বলে ঘোষনা করা হয়। বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা এ রাজ্যে প্রথম নয় তবুও ক্রমশ সেই পরিসংখ্যান বৃদ্ধি পাওয়ায় যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ হিসেবে তা পরিনত হচ্ছে ।
সোমবার মৃতের পরিবারের পাশে গিয়ে দাঁড়ান বিনপুর এবং গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক। সমস্ত রকম সমস্যায় পাশে থাকার আশ্বাস দেন তারা।
মৃতদেহ আজ ময়না তদন্তের পর গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক ডাঃ খগেন্দ্রনাথ মাহাতো এবং বিনপুর বিধানসভার বিধায়ক দেবনাথ হাঁসদা মৃতের পরিবারের পাশে গিয়ে দাঁডান। প্রয়জনীয় সমস্ত কিছুর ব্যাবস্থা ও পাশে থাকার আশ্বাস দোওয়া হয় তাঁদের পক্ষ্য থেকে। সরকারি ক্ষতিপূরণ যাতে দ্রুত তাঁদের কাছে পৌঁছায় সে বিষয়ে তদারকি করবেন বলে জানিয়েছেন তারা। এই দুঃখের সময় ও দুই বিধায়ক কে পাশে পয়ে অনেকটাই আস্বস্ত পরিবারের লোকজন।