নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্ৰাম :- “একটি গাছ, একটি প্রাণ, গাছ লাগান, প্রাণ বাঁচান”- এই মহৎ বাণীকে সামনে রেখেই বুধবার, অরণ্য সপ্তাহ উপলক্ষে চারা গাছ লাগালেন খড়গপুর বনবিভাগ ও নয়াগ্রাম থানার পুলিশ। মূলত অরণ্য সপ্তাহ উপলক্ষে চারা গাছ লাগানোর এই উদ্যোগ নেন খড়গপুর বনদপ্তর কতৃপক্ষ। সেইদিন ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রাম ব্লকের কেশররেখা বনবিভাগ ও পুলিশের পক্ষ থেকে বালিগেড়িয়া ফরেস্ট অফিস প্রাঙ্গনে চারাগাছ লাগানো হয়। প্রতিবছর ১৪ ই জুলাই থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত এই বনমহোৎসব পালন করা হয়ে থাকে। তাই বুধবার খড়গপুর বন বিভাগের পক্ষ থেকে ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম থানার পুলিশের সহযোগিতায় এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির মাধ্যমে বনমহোৎসব অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়।
অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় চারা গাছ লাগানোর পাশাপাশি এলাকার গ্রামবাসীদের হাতেও তুলে দেওয়া হয় গাছের চারা গুলি। ছোট্ট শিশুদৈর মধ্যে এক বিশেষ উৎসাহ লক্ষ্য করা যায় চারাগাছ গুলি হাতে পাওয়া মাত্র। এভাবেই তারা তাদের এই অনুপ্রেরণাদায়ক কর্মসূচীর মাধ্যমে গ্রামবাসীদের মধ্যে সতর্কবার্তাও পৌঁছে দেন। “আজকের দিনে যেখানে বিশ্বউষ্ণায়ন মাথা ছাড়া দিয়ে উঠছে, সেখানে এই ছোট ছোট কাজ গুলি আমাদের সকলের করা উচিত”- বলেন খড়গপুর বন বিভাগের আধিকারিক।
মেদিনীপুর সমন্বয় সংস্থার উদ্যোগে বিপ্লবীদের মূর্তির পাশ্ববর্তী এলাকায় সাফাই অভিযান
নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর :-মেদিনীপুর সমন্বয় সংস্থার মেদিনীপুর টাউন আঞ্চলিক ইউনিটের উদ্যোগে মঙ্গলবার ও বুধবার এই দুইদিন ধরে বিপ্লবীদের মূর্তির পাদদেশে সাফাই অভিযান চালানো হলো। মেদিনীপুর কলেজের সম্মুখে অবস্থিত বিপ্লবী মৃগেন্দ্রনাথ দত্ত,বিপ্লবী অনাথ বন্ধু পাঁজা, বিপ্লবী দীনেশ গুপ্ত ও বিপ্লবী নির্মল জীবন ঘোষ এই চার জনের মূর্তির পাদদেশ সংলগ্ন অঞ্চল গুলি আগাছায় পরিপূর্ণ ছিল। আগাছা ও অপ্রয়োজনীয় গাছ-গাছালি মূর্তির সামনে ঝুঁকে পড়েছিল।সেসব আগাছা ও অবাঞ্ছিত গাছগুলো কেটে পরিষ্কার করা হয়। পরে ঐ অঞ্চল গুলিতে ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো হয়। শেষে বিপ্লবীদের আবক্ষ মূর্তিতে এবং বীরাঙ্গনা মাতঙ্গিনী হাজরা ও গান্ধীজী ও বিমল দাশগুপ্তর পূর্ণাবয়ব মূর্তিতে মাল্যদান করাহয়।
বনবিভাগ ও নয়াগ্রাম থানার পুলিশের উদ্যোগে নয়াগ্রামে বন মহোৎসব কর্মসূচী
Read More –সেপ্টেম্বরে কমবে মদের দাম
এই দুইদিনের সাফাই অভিযানে অংশগ্ৰহণ করেন আঞ্চলিক ইউনিটের সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় খাটুয়া, দুই সহকারি সম্পাদক অমিতাভ দাস ও অধ্যাপক ডঃ সুশান্ত দে,কোষাধ্যক্ষ ডাঃ অরূপ কুমার দাস। কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক চিত্তরঞ্জন মুখার্জি, উত্তম কুমার রায়, দেবীপ্রসাদ নন্দী, শিক্ষক বিশ্বজিৎ সাহু, ইউনিটের সদস্য তারাপদ বারিক, শিক্ষক নরসিংহ দাস, শিক্ষক পার্থ দাস প্রমুখ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সরস্বতী আর্ট সেন্টারের অধ্যক্ষ তরুণ সমাজকর্মী শোভন রাণা ও ছাত্র শৌভিক প্রধান। এই সাফাই কর্ম সূচিতে উপস্থিত থেকে উৎসাহ ও অনুপ্রেেরণা যুগিয়েছেন আঞ্চলিক ইউনিটের উপদেষ্টা মণ্ডলীর বর্ষীয়ান সদস্য অধ্যাপক জগবন্ধু অধিকারী , অধ্যাপক মন্টু রাম জানা ও অনাদি কুমার জানা।
আঞ্চলিক ইউনিটের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন এবং নিজে উপস্থিত থেকে উৎসাহ ও আশীর্বাদ প্রদান করেন আঞ্চলিক ইউনিটের সবথেকে বর্ষীয়ান সদস্য তথা মেদিনীপুর শহরের প্রখ্যাত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ডাঃ হৃষীকেশ দে। এই দুদিন ধরে সাফাই অভিযান কর্ম সূচিতে উপস্থিত হওয়ার জন্য আঞ্চলিক ইউনিটের পক্ষ থেকে সকলকে ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান ইউনিটের সভাপতি মানিক চন্দ্র ঘাঁটা । উল্লেখ্য গত ৭ই জুলাই বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাসক অফিসের মুখের প্রবেশ দ্বারের সম্মুখে এল আই সি মোড়ে অবস্থিত বীর বিপ্লবী শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর মূর্তির পাদদেশ সংলগ্ন স্থানটিও আঞ্চলিক ইউনিটের উদ্যোগে পরিষ্কার করা হয়।
আঞ্চলিক ইউনিটের পক্ষ থেকে জানানো হয় সারাবছর ধরে ধারাবাহিক ভাবে এরকম কর্মসূচি গ্ৰহণ করা হবে এবং প্রশাসনের কাছে ও জন সাধারণের কাছে আবেদন করা হচ্ছে যাতে রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক কোনো ফ্লেক্স, ফেস্টুন, ব্যানার, পতাকা, ব্যবসায়িক বিজ্ঞাপন প্রভৃতি শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত মূর্তি গুলির পাদদেশ সংলগ্ন অঞ্চল গুলিতে না লাগানো হয়।