অরূপ ঘোষ, ঝাড়গ্রাম: সারা রাজ্যের পাশাপাশি জঙ্গলমহলে অনুষ্ঠিত হল তৃনমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মেলনী সভা। দলীয় কর্মী এবং প্রবীণ ব্যক্তিদের সম্মান প্রদান ও আগামী বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করল ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার ব্লকের তপসিয়া কন্যাশ্রী মঞ্চে হয় বিজয়া সম্মিলনী। উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্ৰাম জেলা তৃণমূলের সভাপতি দুলাল মুর্মু, গোপীবল্লভপুর বিধানসভার বিধায়ক ডাঃ খগেন্দ্রনাথ মাহাতো, বিনপুর বিধানসভার বিধায়ক দেবনাথ হাঁসদা, ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্ময়ী মারান্ডি, ঝাড়গ্রাম জেলা তৃনমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি বিশ্বনাথ মাহাতো, গোপীবল্লভপুর ২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি টিঙ্কু পাল,জেলা নেতা লোকেশ কর, সত্যরঞ্জন বারিক, স্বপন পাত্র, জয়দ্বীপ হোতা শঙ্কর প্রসাদ দে প্রমুখ।
এদিনের কর্মসূচিতে দলীয় কর্মীদের বিজয়ার শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি আগামী বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখে দলীয় সংগঠন বিস্তারের বার্তা দেন উপস্থিত থাকা নেতৃত্বরা। কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলা তৃণমূলের সভাপতি দুলাল মুর্মু আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার বার্তা দেন। পাশাপাশি বিজেপির মায়াজাল এবং চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকার বার্তা দেন। ব্লক তৃণমূলের সভাপতি টিঙ্কু পাল দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন আগামী বিধানসভা ভোটে ব্লক থেকে বিপুল ভোটে জয়ী করার বার্তা দেন।
এছাড়াও আগামী দিনে বুথ স্তরে দলীয় সংগঠন আরো মজবুত করতে দলীয় কর্মীদের একত্রিত ভাবে লড়াই করার বার্তা দেন প্রসঙ্গত,গত বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের কাছে ধুয়ে-মুছে সাফ হয়ে যায় রাজ্যের বিরোধী দুই দল বিজেপি ও সিপিএম। তৃণমূলের বিপুল জয়ের পর কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধী নেতারা। কিন্তু আদতে তাদের একের পর এক শক্ত ঘাঁটি দুমড়ে- মুচড়ে দেয় তৃণমূলের সৈনিকরা। এবার টার্গেট সামনের বিধানসভা ভোট। বিজয়া সম্মিলনীর মধ্যে দিয়ে জনসংযোগ বাড়িয়ে দলকে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা তৃণমূলের। ইতিমধ্যে জেলার চার বিধানসভায় মুছে গিয়েছে বিজেপি ও সিপিএম। আগত বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের সৈনিক এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে মেলবন্ধন তৈরি করে বিপুল শক্তি অর্জন করতে চলেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসে।