স্টাফ রিপোর্টার, গোপীবল্লভপুর: মায়ের কোল থেকে শিশু হারিয়ে যাওয়া এবং পাচার চক্রের ফাঁদে পরে ফুটফুটে শৈশব বিধ্বস্ত হয়ে যায় তাদের। কখনও অপহরণ করে টাকার অনুদান দাবী কখনও অপহরণ করে ধর্ষণের শিকার হতে হয় সেই শৈশবকে। নাবালক-নাবালিকা কাউকে ছাড়ে না তারা। এরকম একগুচ্ছ উদাহরণ চাপা পড়ে রয়েছে পুলিশের এফ.আই.আর (FIR) এর খাতাতে। এই পাচার এবং হারিয়ে যাওয়া শিশুদের ঘরে ফেরানোর কাজ শুরু করেছে অপারেশন আনন্দ-৩ কিংবা অপারেশন স্মাইল(SMILE)।
আরও খবর: গোপীবল্লভপুরে জাল আধার কার্ডের রমরমিয়ে কারবার, ধৃত ৩
ঝাড়গ্রামের (Jhargram? গোপীবল্লভপুর (Gopiballavpur) থানার পুলিশ আধিকারিকেরা, বৃহস্পতিবার গোপীবল্লভপুর বাজারে (Gopiballavpur) গোপীবল্লভপুর থানার (Gopiballavpur Ps) এ.এস.আই (ASI) স্বদেশ প্রামানিক এবং এল.এস.আই (LSI) তনুশ্রী বিশ্বাস সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা সচেতনতা মূলক বার্তা দেন যেখান তারা এই হারিয়ে যাওয়া শিশুদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
শিশুর নিরাপত্তা ও তার অধিকার রক্ষায় অপারেশন আনন্দ, হেল্পলাইন নম্বর ১০৯৮
হারিয়ে যাওয়া শিশুদের কীভাবে ফিরিয়ে আনা যাবে ? কিংবা কী কী করণীয় সেই মুহুর্তে? সমস্ত কিছু তিনি তার বক্তব্য রাখেন সাধারণ মানুষের কাছে। “আজকের শিশু কালকের ভবিষ্যত। আপনারা যদি দেখেন কখনও কোনও শিশু হারিয়েগেছে তাকে দূরে সরিয়ে দেবেননা, সরাসরি আমাদের সঙ্গে শিশু কল্যাণ নম্বরটির মাধ্যমে যোগাযোগ করুন, নম্বরটি হলো ১০৯৮।
আমাদের অপারেশন স্মাইল সেই সচেতন মূলক পদক্ষেপ যা হয়তো সেই হারিয়ে যাওয়া শিশুটিকে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে।”- নিজের বক্তব্যে এমনই বলেন এল.এস.আই (LSI) তনুশ্রী বিশ্বাস। অপারেশন স্মাইল অর্থাৎ শিশুটির মুখ থেকে হারিয়ে যাওয়া হাসি ফিরিয়ে নতে সাহায্য করবে এই অপারেশন আনন্দ-৩ বা অপারেশন স্মাইল। সেইদিনই গোপীবল্লভপুর বাসস্ট্যান্ড, থানা মোড় এবং হাতি বাড়ি মোড়ে এই সচেতনমূলক বার্তা প্রচার করা হয়।
এবং এক্ষেত্রে এ.এস.আই (ASI) স্বদেশ প্রামানিককে তাদের এই অপারেশন স্মাইল বা আনন্দ এর মূল উদ্দেশ্য সম্পর্কে কিছু বলতে বলা হলে তিনি বলেন, “গোটা জুলাই মাস ধরে আমরা এই অনুষ্ঠানটি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।
আমাদের এই অনুষ্ঠানের মূল লক্ষ্য হল যেসকল হারিয়ে যাওয়া শিশুরা আছেন তাদের উদ্ধার করে, তাদের অভিভাবকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া কিংবা আমরা যদি তাদের অভিভাবকদের খোঁজ না পাই সেক্ষেত্রে তাদের সরকারি হোম গুলিতে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া। তাদের যাতে কোনও পাচার চক্রের হাতে না পড়তে হয় এটাই আমাদের লক্ষ্য।”