নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম: স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগে স্বামী কে গ্রেফতার করলো নয়াগ্ৰামে থানার (Nayagram) পুলিশ, এলাকায় চাঞ্চল্য। বৃহস্পতিবার রাতে খুনের ঘটনাটি ঘটে ঝাড়গ্রাম (Jhargram) জেলার নয়াগ্রাম থানার (Nayagram) নাগরিপাদা গ্রামে ।মৃত মহিলার নাম পার্বতী ভূঁইয়া ?, তার বয়স প্রায় ৩০ বছর।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে পারিবারিক বিবাদের জেরে বৃহস্পতিবার রাতে নাগরিপাদা (Nagripada) গ্রামের অসিত ভূঁইয়া তার স্ত্রী পার্বতী ভূঁইয়াকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুন করেছে। বিষয় টি যা জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা ফোন করে বিষয়টি নয়াগ্ৰামে থানার (Nayagram Ps) পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় নয়াগ্ৰামে থানার পুলিশ।
নয়াগ্ৰামে স্বামীর হাতে খুন স্ত্রী, এলাকায় চাঞ্চল্য
ঘটনাস্থল থেকে পার্বতী ভূঁইয়ার মৃতদেহটি পুলিশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। সেই সঙ্গে অভিযুক্ত মৃতের স্বামী অসিত ভুঁইয়া কে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ধৃত অসিত ভুঁইয়াকে শুক্রবার ঝাড়গ্রাম আদালতে (Jhargram Cort) তোলা হয়। ঝাড়গ্রাম (Jhargram) আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ধৃত অসিত ভুঁইয়াকে ১৪ দিন জেল হেফাজতের রাখার নির্দেশ দেন। কি কারণে অসিত ভুঁইয়া তার স্ত্রীকে পিটিয়ে খুন করেছে তা খতিয়ে দেখার জন্য নয়াগ্রাম থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তবে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর: টানা প্রবল বর্ষণে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। কেশপুর, দাসপুর, ঘাটাল, চন্দ্রকোনা , সবং এ বেশ কিছু মাটির বাড়ি জলের তোড়ে ভেঙে পড়েছে। শিলাবতী নদীর বাঁধ ৫ টি স্থানে ভেঙে জল ঢুকছে গ্রামগুলিতে। দাসপুরের রাই কুন্ডু , যাদবনগর , নাড়াজল এবং চন্দ্রকোনায় যদুপুর , আকতকোলা য় নদী বাঁধ ভেঙে হু হু করে জল ঢুকছে গ্রাম গুলিতে। চন্দ্রকোনা দুই ব্লকের বান্দিপুর গ্রাম (Bandipur Village) পঞ্চায়েতের ভোতা খালি এলাকায় বন্যার জলে প্লাবিত গ্রাম গুলির বাসিন্দাদের উদ্ধার করার জন্য বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর এর কর্মীদের নামানো হয়েছে।
চন্দ্রকোনা দু’নম্বর ব্লকের প্রায় ৫০টি গ্রাম এবং চন্দ্রকোনা এক নম্বর ব্লকের প্রায় ২০ টি গ্রাম ইতিমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও বেশ কিছু এলাকায় নতুন করে শিলাবতী নদীর জল ঢুকছে। চন্দ্রকোনা এক ব্লক ও দুই ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্গত মানুষদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বেশ কিছু এলাকায় ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়। দুর্গত মানুষজনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার জন্য বহু জায়গায় নৌকো নামানো হয়েছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। যার ফলে পশ্চিম মেদিনীপুর (Mednipur) জেলার বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ
কেশপুরের পঞ্চমী সহ ১৫ টি অঞ্চলের ১২০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। স্পিড বোট করে বন্যা দুর্গত মানুষকে উদ্ধার করে আনা হচ্ছে। প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ কে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেশপুরের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। দুর্গত বহু মানুষকে এখনো উদ্ধার করা যায়নি বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান তাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্নএলাকায় স্পিডবোট নামিয়ে দুর্গত মানুষদের উদ্ধারের কাজ শুরু করা হয়েছে। কেশপুর ব্লক এর বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। কেশপুর ব্লকের কানাশোল গ্রামের বাসিন্দা ডাক্তার দিলীপ পান বলেন ১৯৭৮ সালের বন্যা কে ছাপিয়ে গিয়েছে। এত পরিমান বৃষ্টি হয়েছে যার ফলে নদী গুলি ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। তমাল নদী ও পারাং নদীর জলে কেশপুর বন্যার কবলে পড়েছে।
Read More –বেলপাহাড়িতে ডাক্তার দেখাতে এসে গ্ৰামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল ১ সিআরপিএফ জওয়ানকে
মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে
প্রচুর ফসলের ক্ষতির পাশাপাশি ঘরবাড়ির ও ক্ষতি হয়েছে। বন্যার জলে ভেসে গিয়ে বেশ কিছু গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে বলেও তিনি জানান। তিনি প্রশাসনের কাছে দুর্গত মানুষদের দ্রুত উদ্ধার করে ত্রাণশিবিরে রাখার আবেদন জানিয়েছেন। কাপাস টিকরি এলাকায় এবং গড়বেতার জোগাড় ডাঙ্গা এলকায় বেশ কয়েকটি মাটির বাড়ি ভেঙে গেছে। ঘাটাল হাস মেদিনীপুর ঢুকছে। ঘাটাল (Ghatal) কলেজের মধ্যে জল ঢুকেছে। ঘাটালের পুর প্রশাসক বিভাস ঘোষ জানান , রাস্তা সম্প্রসারণ এর জন্য দুপাশের নালা বন্ধ থাকায় জল নিকাশি বন্ধ হয়ে গেছে । এরফলে বৃষ্টির জল ফুলে ফেঁপে উঠছে। মেদিনীপুর (Mednipur) থেকে কেশপুর , ঘাটাল (Ghatal), চন্দ্রকোনা (Chandracona) রাস্তায় জল থাকায় বাস চলাচল বন্ধ আছে। ঘাটাল পৌরসভার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড জলে প্লাবিত হয়েছে।
সেই সঙ্গে ঘাটাল ব্লকের বেশকিছু গ্রাম পঞ্চায়েত প্লাবিত হয়েছে বলে জানা যায়। এছাড়াও দাসপুরের বেশ কয়েকটি এলাকা বৃষ্টির জলে প্লাবিত হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা যায়। সেই সঙ্গে মেদিনীপুর সদর ব্লকের বেশ কিছু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলেও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। যার ফলে পশ্চিম মেদিনীপুর (Mednipur) জেলার বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং বন্যা পরিস্থিতির উপর জেলা প্রশাসন নজর রেখেছে।