পুষ্পেন্দু মজুমদার, দুবাই: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্ধিতীয় সেমিফাইনালে আজ মুখোমুখি অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তান। পাকিস্তান এখন পর্যন্ত ২ বার ফাইনালে উঠে একবার কাপ জিতেলেও অস্ট্রেলিয়ার কাছে এখনও পর্যন্ত অধরা এই ট্রফি। এমনকি এখনও পর্যন্ত একবারও ফাইনালে উঠতে পারিনি অজি বাহিনী। এবারের টুর্নামেন্টে এখনও অপরাজিত পাকিস্তান।গ্ৰুপ লিগের সব ম্যাচ জিতে স্বপ্নের ফর্মে বাবর আজমের দল। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং সব বিভাগের দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন পাক- ক্রিকেটাররা। তাই আজ সেমিফাইনালেও ফেভারিট হিসেবে মাঠে নামবেন তারা। অন্যদিকে গ্ৰুপ পর্বের ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে অস্ট্রেলিয়া বশ মানলেও দারুন কামব্যাক করেছেন আরন ফিঞ্চরা। এখন দেখার বড় খেলায় কে কাকে টেক্কা দিয়ে ফাইনালে টিকিট জোগাড় করে।
আরও খবর: ফাস্টফুডের বদলে চটজলদি সকলের জন্য বানিয়ে ফেলুন স্বাস্থ্যকর ওটস চিল্লা
পাক অধিনায়ক বাবর আজম এই টুর্নামেন্টে ভালো খেলে চলেছেন। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ব্যাটিং করে চলেছেন আরেক ওপেনার রিজওয়ান। মিডল অর্ডারে ভরসা যোগাচ্ছেন হাফিজ, অভিজ্ঞ শোয়েব মালিকরা। তবে জ্বর ও চোটের কারণে আজ প্রথম দলের কয়েকজনের নামা অনিশ্চিত। ব্যাটিংয়ে পাশাপাশি পাকিস্তানের পেস ও স্পিনের আক্রমণ সকলের নজর কাড়ছে। প্রতি ম্যাচেই বিপক্ষের ইনিংসে প্রথম দিকে আঘাত হানছেন শাহিন আফ্রিদি। হ্যারিস রউফ ও মহম্মদ নওয়াজও প্রয়োজনে জ্বলে উঠছেন। পাশাপাশি সাদাব খান ও ইমাদ ওয়াসিম ও ঠিক সময়ে পাকিস্তানের হয়ে ঠিক কাজটি করে দিচ্ছেন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্ধিতীয় সেমি ফাইনালে মুখোমুখি অস্ট্রেলিয়া – পাকিস্তান
অন্যদিকে পাঁচবারের ওয়ানডে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার কাছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আজও অধরা।সেই আপেক্ষ মেটাতে মারিয়া ফিঞ্চ বাহিনী। টুর্নামেন্টের প্রথম দিকে নিষ্ক্রিয় থাকলেও যতদিন যাচ্ছে জ্বলে উঠছেন ওয়ার্নার। ফর্মে রয়েছেন ফিঞ্চ ও।তার সঙ্গে রয়েছেন অভিজ্ঞ স্মিথ মার্শদের মিশলে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইন আপ বেশ শক্তিশালী। অজিদের বোলিং লাইন আপ বেশ শক্তিশালী। হ্যাজলউড , প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক পেস আক্রমণ। এছাড়া স্পিজাম্পার স্পিনের ছোবলে খেলেতে বেশ সম্যসায় পড়তে পারেন পাক- ব্যাটসম্যানরা।
ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্ৰুপ লিগের প্রথম থেকেই সাফল্যের চূড়ায় উঠে যাওয়া পাকিস্তানের কাছে এই ম্যাচ বেশ কঠিন।নক- আউটের পর্বের লড়াই একেবারে আলাদা।প্রবল চাপ নিয়ে সেরাটা মেলে ধরতে হয়।পাক দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই নতুন। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া দলে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের সংখ্যা বেশি। পাশাপাশি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ট্রফি ঘরে না আসা জ্বালা এবার মেটাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ফিঞ্চ বাহিনী।