স্টাফ রিপোর্টার, ঝাড়গ্রাম: করোনা অতিমারিতে (Corona) আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রের পাশাপাশি ভেঙেচুরে গিয়েছে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোও। ২০২০ সাল থেকে টানা করোনার সঙ্গে লড়াই চালাতে গিয়ে রাজ্য হারিয়েছে বহু চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মীদেরও। ডাক্তার ও নার্সদের প্রয়োজনীয়তা ও অভাবকে প্রকট করে তুলেছে এই অতিমারিই। করোনা পরিস্থিতি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো কতটা ধসে পড়েছে। ডাক্তার, নার্সদের এই চরম দুর্দশার অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে রাজ্য সরকার ৬ টি নতুন মেডিক্যাল (Medical) কলেজ (Collage) চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এই কলেজ গুলিতে ২০২২ ও ২০২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে ডাক্তারি ছাত্র ছাত্রীদের পাঠন পাঠনের জন্য রাজ্য সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ঝাড়গ্রাম (Jhargram) মেডিকেল কলেজ (Jhargram Medical College)। নির্বাচনের আগে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ঝাড়গ্রাম (Jhargram) মেডিক্যাল কলেজের (Jhargram medical College)। ঝাড়গ্রাম পৌরসভার ( ১৮ নং ওযার্ডে এই নতুন মেডিক্যাল কলেজ তৈরির কাজ চলছে। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন এই কলেজে পঠন পাঠন শুরু করবার। সেই কারণে ২৮ জুন (সোমবার) ঝাড়গ্রাম (Jhargram) মেডিকেল কলেজের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখলেন রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের চার সদস্যের প্রতিনিধি দল।
ওই প্রতিনিধি দলটি প্রথমে ঝাড়গ্রামের (Jhargram) জেলা শাসকের কার্যালয়ে গিয়ে জেলা শাসক জয়সী দাশগুপ্ত সঙ্গে ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেন। এরপর ঝাড়গ্রাম (Jhargram) সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল সহ স্বাস্থ্য দপ্তরের বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখেন এবং ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজ যেখানে তৈরি হচ্ছে সেই এলাকায় গিয়ে কাজকর্ম খতিয়ে দেখেন।
ঝাড়গ্ৰাম মেডিকেল কলেজের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখলেন রাজ্য সাস্থ্য দপ্তরের প্রতিনিধি দল
Read More – বনবিভাগ ও নয়াগ্রাম থানার পুলিশের উদ্যোগে নয়াগ্রামে বন মহোৎসব কর্মসূচী
স্বাস্থ্য দপ্তরে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন গোপীবল্লভপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ডাঃখগেন্দ্র নাথ মাহাতো। তিনি বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঝাড়গ্রাম (JHARGRAM) মেডিকেল কলেজ চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন। মেডিকেল কলেজের বিষয়ে ঝাড়গ্রাম (JHARGRAM) জেলার স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গেও বিস্তারিত আলোচনা করেন প্রতিনিধি দল ও ডাক্তার বিধায়ক খগেন্দ্রনাথ মাহাত (DR KHAGENDRANATH MAHATA)।