Sunday, September 8, 2024
- Advertisment -spot_img

ঝাড়গ্ৰামের ৭৯ জন প্রাক্তন আত্মসমর্পণ কারী মাওবাদী চাকরি পেল পুলিশে

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম: জেল খেটেছেন কেউ, কেউ বা সারেন্ডার করেছেন সমাজে অন্য সাধারণ মানুষের মতোই নতুন করে নিজের জীবন গুছিয়ে নেওয়ার জন্য। তাদেরও ইচ্ছে করে সমাজের একজন  সাধারন মানুষ হয়ে নিজেদের পরিচয় দিতে। ভুল করেছেন কিন্তু সেই তকমা মুছে নতুন ভাবে তাদের জীবন গড়ার দ্বায়িত্ব নিলেন রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের সেই সিদ্ধান্ত মতোই ১৯ জন প্রাক্তন আত্মসমর্পণ কারী মাওবাদী (Mao) সহ মোট ৭৯জন চাকরি পেল পুলিশে (Police)। ১২ মহিলা ও ছিলেন সেই তালিকাভুক্ত।রাজ্যের ৪ জেলা পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর (Mednipur), বাঁকুড়া (Bankura) ও ঝাড়গ্ৰামের (Jhargram)  ২২০ জন প্রাক্তন মাওবাদীদের হাতে পুলিশের চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হলো আজ জেলায় জেলায়।

ঝাড়গ্ৰামের (Jhargram) ৭৯ জন প্রাক্তন মাওবাদি পুরুলিয়াতে (Purulia) ১৯ জন বাঁকুড়া ১১ জন, পশ্চিম মেদিনীপুরের ১১০ জন। এরা সকলের নিজ নিজ জেলা থেকে ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলো। নেতাজী ইন্ডোর থেকে মুখ্যমন্ত্রী ভার্চুয়াল সভার মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানে র সূচনা করেন। চার জেলার এস.পি (Sp) ও জেলাশাসক রা নিয়োগ পত্র তুলে দিলেন  প্রাক্তন মাওবাদীদের (Mao) হাতে। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে জেলার প্রাক্তন মাওবাদীরা আন্দোলন নেমেছিল তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে ঝাড়গ্রাম জেলা সহ বেশ কিছু জেলায় বিক্ষোভ দেখিয়ে ছিল জেলা শাসকের কাছে  প্রাক্তন মাওবাদীরা। চাকরি পেয়ে খুশি প্রাক্তন মাওবাদীরা। আগামি কাল থেকে বিভিন্ন থানায় ট্রেনিং শুরু হবে বলে জানান পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ ঘোষ।

তারা তাদের নাম প্রকাশের ইচ্ছুক না থাকলেও তাদের আনন্দ এবং নতুন করে জীবন ফিরে পাওয়ার সেই মুখ ভঙ্গি দেখে পরিবারের অনেকেই চোখের জল ফেলেছেন। নতুন এই পরিচয় পেয়ে একজন বলেন,“কেমন লাগছে, তা সত্যিই বলার ভাষা নেই। এতটা আনন্দ পেয়েছি যে প্রকাশ করতে পারব না। ২০০৮ সালে জেলে ঢুকেছিলাম। ২০১১ সালে বেরিয়েছি। ভাবুন কী অবস্থায় ছিলাম। নতুন পরিচয় পেয়ে সত্যিই কৃতজ্ঞ।”

লালগড় এর আমকলা এলাকায় ২৫ টি দাঁতাল

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম: সোমবার রাতে আচমকা প্রায় ২৫ টি দাঁতাল হাতি ঝাড়গ্রাম জেলার (Jhargram? বিনপুর (Binpur) এক ব্লকের অন্তর্গত লালগড় (Lalghor) থানার আমকলা এলাকায় চলে আসে। কংসাবতী নদীতে জলের স্রোত থাকায় ওই হাতির দল কংসাবতী নদী পেরিয়ে লালগড়ের ঝিটকার (Jitkar) জঙ্গলের দিকে যেতে পারছে না। যেকোনো সময় ওই হাতির দল আমকলা (Amkola), কানাইপাল (Kanaipal) ও ধামরো (Dhamro) গ্রামে ঢুকে পড়তে পারে। যার ফলে ওই গ্রামগুলির বাসিন্দারা হাতির হামলার আশঙ্কায় রয়েছেন। হাতির (Elephant) দল গ্রামে ঢুকে ফসলের ও ঘর বাড়ির ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে বলে গ্রামবাসীরা আশঙ্কা করছেন।

তাই কয়েক হাজার গ্রামবাসী রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। যাতে হাতির দল লোকালয়ে ঢুকতে না পারে।ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে লালগড় থানার পুলিশ, বনদপ্তরে কর্মী ও আধিকারিকরা হাতি গুলি আমতলা এলাকায় থাকা কিষাণ মান্ডির কাছেই রয়েছে। যেভাবে হাতে গুলি ওই এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তাতে গ্রামবাসীরা যথেষ্ট আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। কৃষিপ্রধান ওই এলাকার বাসিন্দাদের সারাবছর সবজি চাষের উপর নির্ভর করতে হয়। তাই হাতির দল যদি গ্রামে ঢুকে পড়ে তাহলে ব্যাপক সবজি চাষের ক্ষতিকরবে বলে আশঙ্কা করছেন ওই এলাকার গ্রামবাসীরা। কিন্তু কংসাবতী নদীতে জলের স্রোত থাকায় হাতির দল লালগড়ের ঝিটকার জঙ্গলে যেতে পারছে না।

ঝাড়গ্ৰামের ৭৯ জন প্রাক্তন আত্মসমর্পণ কারী মাওবাদী চাকরি পেল পুলিশে

তাই ওই পঁচিশটি হাতির দল কে নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন বনদপ্তরের আধিকারিক ও কর্মীরা। তবে গ্রামবাসীরা হাতির দল যাতে লোকালয়ে ঢুকে ফসলের ও ঘর বাড়ির ক্ষতি করতে না পারে তার জন্য রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। প্রয়োজনে সারারাত ধরে গ্রামবাসীরা রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে থাকবেন বলে জানান। তৃণমূল কংগ্রেসের ঝাড়্গ্রাম জেলা কমিটির সদস্য ধনঞ্জয় রায়। বলেন হাতির দল লালগড় ব্রিজের নিচে আমকলা এলাকায় থাকা কিষাণ মান্ডির সামনেই রয়েছে। হাতির দল কোনদিন লালগড় ব্রিজ (Lalghor Brize) পেরিয়ে যায় নি। সব সময় কংসাবতী নদী পেরিয়ে লালগড় কলেজের (Lalghor Collage) পাশ দিয়ে ঝিটকার জঙ্গলে যায়। কিন্তু নদীতে জলের স্রোত থাকায় হাতি গুলি ওই এলাকায় রয়েছে ।হাতির দলের উপর নজরদারি শুরু করেছে বনদপ্তর কর্মী ওআধিকারিকরা।

সেই সঙ্গে ঘটনাস্থলে লালগড় (Lalghor) থানার পুলিশ রয়েছে। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই হাতির পাল কে নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় রয়েছেন বলে তিনি জানান।

RELATED ARTICLES

कोई जवाब दें

कृपया अपनी टिप्पणी दर्ज करें!
कृपया अपना नाम यहाँ दर्ज करें

spot_img

Most Popular

Recent Comments