স্টাফ রিপোর্টার, ঝাড়গ্রাম: রাজ্যে শিথিল হলেও লক ডাউনের কড়াকড়ি বজায় থাকলো ঝাড়গ্রামে লকডাউন (Jhargram)। প্রতিদিন বঙ্গে করোনা (Corona) সংক্রমনের সংখ্যা কমছে, পাশাপাশি মৃত্যুহারও নিম্নমুখী। তবে, অরণ্যসুন্দরী ঝাড়গ্রাম (Jhargram) রয়েছে স্রোতের বিপরীতে। করোনা পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আসেনি এই শহরে। তাই রাজ্যের অন্যত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে লকডাউনে শিথিলতা আনা হলেও ঝাড়গ্রাম জেলা (Jhargram District) প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনবার জন্য ৬ জুলাই (মঙ্গলবার) ভোর পাঁচটা থেকে ৮ জুলাই (বৃহস্পতিবার) ভোর পাঁচটা পর্যন্ত কড়া আত্মশাসন বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে।
এই ৪৮ ঘন্টা জরুরী পরিষেবা বাদ দিয়ে বন্ধ থাকছে সমস্ত দোকানপাট (Shop), বাজার (Merket), হোটেল (Hotel), রেস্তোরাঁ (Restaurant), শপিং মল (Shopping Mall) সহ অন্যান্য সমস্ত কিছু। কেবল মাত্র ব্যাংক (Bank), পোস্ট অফিস ( Jhargram Post office), গ্যাসের দোকান (Gas), হাসপাতাল (Jhargram Hospital) , ওষুধের দোকান ইত্যাদির জরুরী পরিষেবা খোলা থাকছে বলেই জানানো হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
ঝাড়গ্রামে লকডাউন
এই বজ্র আঁটুনির কারণে চরম ভোগান্তির শিকার ঝাড়গ্রামের (Jhargram) বাসিন্দারা। শহরের বিভিন্ন এলাকা বাঁশের বেড়া দিয়ে সিল করে দেওয়া হয়েছে পুলিশের (Jhargram Police) পক্ষ থেকে। জরুরী কাজ ছাড়া বাড়ির বাইরে থেকে বেরোনো যাবে না বলেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৬ জুলাই সকাল থেকেই শুরু হয়েছে কড়া নজরদারি। রাস্তাঘাট একেবারে শুনশান। পুলিশের টহলদারি চলছে সর্বদা। গোটা ঝাড়গ্রাম শহরে (Jhargram city) বজায় রয়েছে পিনপতন স্তব্ধতা!
অন্য খবর: ঝাড়গ্রামে এক মহিলা খুনের ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করল ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ
স্টাফ রিপোর্টার, ঝাড়গ্রাম: ৩০শে জুন বুধবার ঝাড়গ্রাম শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চাঁদাবিলা এলাকায় ভাড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় এক বিবাহিত মহিলার গলাকাটা মৃতদেহ। মৃতের নাম মাইনো মান্ডি, তার বয়স ৩৮ বছর। সে তার স্বামী ও সন্তান কে ছেড়ে বাপি হেমব্রম নামে এক ব্যক্তির সাথে ওই ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ অনুমান করেছিল। তাই তদন্ত করে পুলিশ সোমবার রাতে ওই মৃত গৃহ বধূর প্রথম পক্ষের স্বামী মাসাং মান্ডি ও ডমন হেমব্রম নামে দুই জনকে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার ধৃত দুইজনকে ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হয়।
Read More – বনবিভাগ ও নয়াগ্রাম থানার পুলিশের উদ্যোগে নয়াগ্রামে বন মহোৎসব কর্মসূচী
ঝাড়গ্রাম আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক তাদের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে ওই গৃহবধূকে খুনের ঘটনায় আর কারা জড়িত রয়েছে তা খতিয়ে দেখার জন্য পুলিশ ধৃত দুই জনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।