স্টাফ রিপোর্টার, ঝাড়গ্রাম: সাতসকালে অপহরণের চেষ্টা দুই নাবালিকা ছাত্রীকে। চাঞ্চল্য এলাকায়, ঝাড়গ্রামের (Jhargram) সাঁকরাইলের (Sankrail) এই ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। জানা গিয়েছে ওই দুই নাবালিকা ছাত্রীর নাম হরিপ্রিয়া মাহাতো (Haripriya Mahata) ও কাকলি মাহাতো (Kakoli Mahata)। শনিবার (২১ আগস্ট) সকালে নিশ্চিন্তা (Noschinta) থেকে জুটিয়া (Jutiya) গ্রামের টিউশন পড়তে আসছিল ওই দুই নাবালিকা।
ওই রাস্তায় মাঝে অনেকটা জঙ্গল এবং কাজুবাগান (Cashew garden) পড়ে। সেই জঙ্গল এবং কাজু বাগান পেরিয়ে ওই দুই ছাত্রী যাচ্ছিল টিউশন (Tuition) পড়তে। এলাকাটা বেশি শুনশান। আর এই নিস্তব্ধতার সুযোগই নেয় দুষ্কৃতীরা। পিছন থেকে হাতুড়ি (Hammer) দিয়ে আঘাত করে দুষ্কৃতীরা তাদের অপহরণের চেষ্টা করে। হাতুড়ির আঘাতে কাকলি মাহাতর হাতে এবং হরিপ্রিয়া মাহাতর মাথায় গুরুতর চোট লাগে। তবে কার্যসিদ্ধি অসফল থাকে দুষ্কৃতীরা। ভাগ্যক্রমে ঘটনাটি টিউশন স্থলের কাছে হওয়ায় ওই দুই নাবালিকার চিৎকারে বাকি ছাত্র-ছাত্রী ও টিচাররা বেরিয়ে আসেন।
ঝাড়গ্রামে দুই নাবালিকাকে অপহরণের অভিযোগ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে
সকলকে একত্রিত হতে দেখে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ওই দুই নাবালিকা ছাত্রীকে সাঁকরাইলের ভাঙাগর হাসপাতালে (Vanaghor hospital) চিকিৎসার হেতু ভর্তি করা হয়। এবং সাঁকরাইল থানায় (Sankrail Ps) অভিযোগ দায়ের করা হয়। কাকলি মাহাত জানায়, রোজি তারা দুই বন্ধু গল্প করতে করতে সকালবেলায় টিউশন পড়তে এই পথ ধরে আসে। তবে আজ হঠাৎ পিছন থেকে তাদের উপর হামলা হয়। তবে এই হামলার আসল কারণ কি? সেই বিষয় খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
বিধায়ককে মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির শাখার পক্ষ থেকে সংবর্ধনা পুরুলিয়ায়
আরও খবর: প্রবল বৃষ্টির ফলে ঝাড়গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন

স্টাফ রিপোর্টার, পুরুলিয়া :- বাঘমুন্ডি বিধানসভার বিধায়ককে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির পুরুলিয়ার (Purulia) বাঘমুন্ডি (Bagmundi) শাখার পক্ষ থেকে সংবর্ধনা জানানো হলো। শনিবার পুরুলিয়া জেলার (Pirulia District) বাঘমুন্ডি ব্লকের বাঘমুন্ডি হাই স্কুলে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এদিন পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) তৃণমূল (Tmc) মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির বাঘমুন্ডি শাখার পক্ষ থেকে উত্তরীয়।ফুলের তোড়া, মানপত্র, জেলার ঐতিহ্য ছৌ মুখোশ দিয়ে বাঘমুন্ডির বিধায়ক সুশান্ত মাহাতোকে সংবর্ধনা জানান। সংবর্ধনা সভাতে বাঘমুন্ডি শাখার সভাপতি তথা এলাকার বিশিষ্ট নাট্যকার নিরঞ্জন পরামানিক বিধায়কের কাছে এলাকার কিছু সমস্যা নিয়ে দাবী করেন, এবং শিক্ষা পরিকাঠামো বাড়ানো ও শিক্ষক নিয়োগের জন্যও সরকারের কাছে বিষয়টা পৌঁছানোর জন্য বলেন।
তিনি ছাড়াও এদিন শিক্ষক সংগঠনের সকলেই বিষয়গুলি তুলে ধরেন বিধায়কের পাশে। সবার সব দাবী শুনে বিধায়ক বলেন, এলাকায় কিছু খামতি রয়েছে সেগুলির শীঘ্রই সমাধান হবে। আজকের সব প্রস্তাব দিদির কাছে শীঘ্রই পৌঁছাবো। এবং শীঘ্রই এলাকায় আরও বহু উন্নয়ন হবে। সংবর্ধনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, বাঘমুন্ডির বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো, তৃণমূল শিক্ষক সমিতির জেলা সভাপতি সত্যকিঙ্কর মাহাতো। এদিনের অনুষ্ঠানের সঞ্চালক তথা বাঘমুন্ডি হাই স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষক রশিদ খান, পুরুলিয়া জেলা পরিষদের বিদ্যুত, ক্ষুদ্র ও অচিরাচরিত শক্তির কর্মাধ্যখ্যা নমিতা সিং মুড়া সহ শিক্ষক সমিতির সদস্যগণ সহ বিশিষ্টজনেরা।