নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুর : রোজকার মতই পিঠে ব্যাগ চাপিয়ে, গলায় আইডেন্টি কার্ড ঝুলিয়ে ঘর থেকে বেরিয়েছিলেন বছর তেইশের স্বাগতা। গন্তব্য কলেজ। তবে রোজকার মত ঘরে ফেরা হল না ‘ঘরের মেয়ে’। মেদিনীপুর সিটি কলেজের ওই ছাত্রী, স্বাগতা হাজরা, মাস্টার অফ হসপিটাল অ্যাডমিনিষ্ট্রেশন বিভাগের স্নাতকোত্তর দ্বিতীয় বর্ষে পাঠরত ছিলেন। ঘরের মেয়ে
ঘরে ফিরল না ‘ঘরের মেয়ে’; কলেজের সামনেই মৃত্যু হল স্বাগতার
READ MORE : Jhargram: মাধ্যমিকে দশম ঝাড়গ্রামের অরিত্র মন্ডল আগামী দিনে চিকিৎসক হতে চায়
READ MORE : তামিলনাড়ুতে জাতীয় স্তরের পঞ্চাশোর্ধ দৌড় প্রতিযোগিতায় সোনা জয়ী নন্দিনী মাহাতো কে সংবর্ধনা
বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরের বর্জটাউন এলাকার মেয়েটি নিত্যদিনের মতই অটো ধরে যাচ্ছিলেন কলেজে। অঘটনটি ঘটে দুপুর আড়াইটা নাগাদ। অটো থেকে নেমে ভাড়া মিটিয়ে এগোচ্ছিলেন সহপাঠীদের দিকে। হঠাৎ দ্রুত গতিতে এসে পরে একটি বাইক, তাল সামলাতে না পেরে স্বাগতাকে ধাক্কা মারেন ওই বাইক আরোহী। সশব্দে চিৎকার করে খানিক দূরে ছিটকে পড়েন তিনি। মুহুর্তের মধ্যে ভির জমে কলেজ চত্বরে। স্বাগতার বন্ধুদের মাথায় যেন তখন আকাশ ভেঙে পড়েছে। ‘পিন পতন স্তব্ধতা’ ওদের চারিদিকে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে কি ঘটে গেল তা উপলব্ধি করতে আরও কিছু সময় লাগল।
কলেজের সামনেই মৃত্যু হল স্বাগতার
তারপরই স্বাগতার রক্তাক্ত দেহ দেখে ভয়, বিস্ময়ে ও কষ্টে কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা। কেউ কেউ ছুটে যান কলেজে খবর দিতে। অবাক হয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। সঙ্গে সঙ্গে মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় রক্তমাখা স্বাগতার দেহটিকে। সেইখানেই চিকিৎসকরা দেন দুঃসংবাদটি। স্বাগতা হাজরা ‘আর নেই’ শুনেই কান্নায় ফেটে পড়েন মেয়েটির পরিবারের সকলে। জখম বাইক আরোহীটিকেও ভর্তি করা হয়েছিল ওই একই হাসপাতালে। তবে, বিপদ বুঝে সকলের নজর এড়িয়ে ‘চম্পট’ দেন তিনি। পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।