জঙ্গলমহল বার্তা ডেস্ক, ঝাড়গ্রাম: বিধানসভা ভোটের পূর্বে রাজ্য তথা অরণ্য সুন্দরী ঝাড়গ্রামে (Jhargram) বিজেপির (Bjp) যে ক্ষমতা ছিল ভোট পরবর্তী সময়ে তা বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। একাধিক হেভিওয়েট নেতারা ঘর ওয়াপসি হচ্ছেন, পাশাপাশি বিজেপির (Bjp) অনেক লোকাল নেতারাও দল ত্যাগ করছেন। এই কঠিন মুহূর্তে বিজেপির এককালীন আঁতুড়ঘর গোপীবল্লভপুরে (Gopiballavpur) সংগঠন ধরে রাখাই রাজ্য বিজেপি (Bjp) নেতাদের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তাই বিজেপির দলীয় নেতাকর্মীদের মনোবল বৃদ্ধি করতে তাদের নিয়ে গোপীবল্লভপুরের (Gopiballavpur) গোপীপুঞ্জ লজে ৭ জুলাই (বুধবার) কর্মী বৈঠক করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
আরও খবর: বিবাহ বার্ষিকীতে ব্যতিক্রমী উপহার, চাঁদে জমি কিনলেন ঝাড়গ্রামের যুবক
এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সহ সভাপতি ভারতী ঘোষ (Bharati Ghosh), ঝাড়গ্রাম (JHARGRAM) জেলা সভাপতি তুফান মাহাতো (Tufan Mahato) সহ আরো অনেকে। এই দিন রুদ্ধদ্বার বৈঠকে নানান আলোচনায় মত্ত হন বিজেপির মহারথীরা। পরবর্তীতে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নানান প্রশ্নের জবাব দেন দিলীপ ঘোষ।
ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাসের পর দলীয় নেতারা দলীয় কর্মীদের পাশে দাঁড়াননি এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, তাঁরা যথাসম্ভব চেষ্টা করেছেন দলীয় কর্মী সমর্থকদের সুরক্ষিত রাখার। যখনই কেউ কোন বিপদে পড়েছেন তখনই তিনি সহ বিজেপির অন্যান্য নেতারা ঝাঁপিয়ে পড়েছেন অত্যাচারিতদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য। কিন্তু, পুলিশি অত্যাচার চলছে।
তারা প্রতিবাদের মাধ্যমে চেষ্টা চালাচ্ছেন যাতে এই অত্যাচার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বন্ধ করা যায়। আবার, গোপীবল্লভপুরের (Gopiballavpur) বিজেপির (Bjp) পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের তৃণমূলে (Tmc) যোগদান এবং বিজেপি (Bjp) পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি তৃণমূলের দখল করে নেওয়া এই বিষয়ে তিনি বলেন, এখনো তৃণমূল (Tmc) কোন পঞ্চায়েত দখল করতে পারেনি। তবে প্রতি মুহূর্তে তারা ভয় দেখাচ্ছে। বিজেপিকে ভাঙ্গা অত সহজ নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।অন্যদিকে, দলীয় যুব সভাপতির পদ মতবিরোধের কারণে ত্যাগ করছেন সৌমিত্র খাঁ এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে প্রসঙ্গ এড়িয়ে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, তাঁর কাছে এখনো পর্যন্ত কোন পদত্যাগ পত্র আসেনি।
গোপীবল্লভপুরে বিজেপির দলীয় বৈঠক
উল্লেখ্য, এই দিনের বৈঠকে ঝাড়গ্রাম জেলা (Jhargram District) বিজেপির অন্তর্বর্তী দলীয় কোন দলের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি সুখময় সথপথি সহ বেশকিছু নেতা উপস্থিত ছিলেন না রাজ্য সভাপতির বৈঠকে। ঝাড়গ্ৰামে (Jhargram) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendhu Adhikari) কয়েকদিন আগের বৈঠকে ছিলেন না সুখময় সতপথি (Shukumay Shatpati)। পাশাপাশি তিনি ভোট পরবর্তী সময়ে দলের জেলা পার্টি অফিসে যান না বলে অভিযোগ।
এবিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর. (Suvendhu) বৈঠক সাংগঠনিক বৈঠক ছিল না, কিন্তু যে বৈঠকে তিনি নিজে উপস্থিত ছিলেন সেটি সাংগঠনিক বৈঠক ছিল এবং সুখময় সতপথি তাতে উপস্থিত ছিলেন।