Sunday, September 8, 2024
- Advertisment -spot_img

কিচিরমিচির ফেরাতে মাঠে নামলো পঁচেট জুয়েল স্টার ক্লাব

নিজস্ব প্রতিবেদন, পূর্ব মেদিনীপুর: ঘুর্নিঝড় যশের জোশে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে উপকূলবর্তী এলাকাগুলি। উপকূলে থাকা বড় বড় গাছ গুলি উপরে পড়েছে মাটিতে। ফলে, সেই গাছগুলি যে সমস্ত পাখিদের বাসস্থান তারা হয়ে পড়েছে বাস্তুহারা। যশে গৃহহীন মানুষের জন্য প্রাণ থাকলেও; সেই সমস্ত বাস্তুহারা পাখিদের জন্য নেই কোনো ত্রাণের ব্যবস্থা। তবে এবার সেই পাখিদের নিয়ে ও ভেবেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর থানার পঁচেট গ্রামের পঁচেট জুয়েল স্টার ক্লাব। বাস্তুহারা পাখিদের জন্য কৃত্রিম তৈরির ব্যবস্থা নিয়েছে ক্লাব। নিজেদের তত্ত্বাবধানেই সদস্যরা গাছের উপর রেখে দিচ্ছেন ছোট ছোট বাঁশের উপকরণ দিয়ে তৈরি কৃত্রিম পাখির বাসা। বাসার ভেতরে দেওয়া হচ্ছে খরচ শুকনো পাতা, বট গাছের ঝুরি। জানা যাচ্ছে, এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে যাতে আশ্রয়হীন পাখিরা সাময়িকভাবে আশ্রয় খুঁজে পায়। ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে এমনই উদ্যোগ নিয়ে পাখিদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল পঁচেট জুয়েল স্টার ক্লাবের সদস্যরা। কৃত্রিম বাসায় তারা পাখিদের জন্য খাবারের ব্যবস্থাও করেছে। পঁচেট গ্রামের বাজার, সমিতি, রাজবাড়ী এলাকা চিহ্নিত করে বিভিন্ন গাছের ছোট ছোট ঝুড়ি ও মাটির কলসি বেঁধে রেখে পাখিদের বাসার সমস্যা দূর করার চেষ্টা করছে তারা। আপাতত সামান্য একটি ক্ষতিপূরণের জন্য এই বন্দোবস্ত বলে জানিয়েছে ক্লাবের কর্মকর্তা সৈকত মাইতি। সারাবিশ্বে জনবসতি বৃদ্ধি ও গ্রাম-নগর উন্নয়নের জন্য নির্মম ভাবে গাছ কাটা হচ্ছে প্রতিমুহূর্তে। ফলে ধ্বংসের পথে এগোচ্ছে প্রকৃতি। পাশাপাশি বিপদে পড়েছে প্রাণী জগৎ। পাখিরাও রয়েছে সেই তালিকায়। এই বিষয় নিয়ে নানা সময় নানান অভিযোগ তুলেছেন পরিবেশবিদরা। তবে কোনরূপ সুরাহা হয়নি। বরং যতদিন গেছে তত গাছ কাটার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সমস্যার মাঝেই আম্ফান, যশের মত ঘূর্ণিঝড়ে সহস্রাধিক গাছ ভেঙে পড়ায় দুর্দশার চরমে পৌঁছেছে পাখিদের অবস্থা। এই সমস্ত ঝড়ে অনেক পাখি মারাও গেছে। যে সমস্ত পাখিরা বেঁচে আছে, তাদের উদ্বাস্তুর মতো জীবন কাটাতে হচ্ছে।   প্রথম দিনেই পঁচেট জুয়েল স্টার ক্লাবের পক্ষ থেকে তিরিশটি কৃত্রিম পাখির বাসা বানানো হয়েছে। এবং সেগুলো কে গাছে বেঁধে সমাজকে পাখি সংরক্ষণের বার্তাও প্রদান করেছে ক্লাবের সদস্যরা। এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন সংস্থার সদস্য সৈকত মাইতি, নন্দন রাউত, সুব্রত রাউত, প্রদীপ মাইতি, প্রবীর দাস। তাদের ভরসা বাসার সমস্যা মিটিয়ে পাখিরা আবার কিচিরমিচির করে ডেকে উঠবে। আবার প্রকৃতি ভরে উঠবে তাদের কলরবে।

RELATED ARTICLES

कोई जवाब दें

कृपया अपनी टिप्पणी दर्ज करें!
कृपया अपना नाम यहाँ दर्ज करें

spot_img

Most Popular

Recent Comments