নিজস্ব প্রতিবেদন, ঝাড়গ্রাম: করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ স্কুল কলেজ। তাই চরম দুর্ভোগের শিকার ছাত্র-ছাত্রীরা। অনলাইন পঠন-পাঠনের পরিকাঠামো ভাল না হওয়ায় ভীষণ অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে ঝাড়গ্রামের পড়ুয়ারা। সব স্কুলে যে অনলাইন পঠন-পাঠন হচ্ছে তাও নয়; হাতে গোনা মাত্র কয়েকটি স্কুলেই চলছে এরূপ শিক্ষাদান। তবে সেটিও মন দিয়ে করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা, মূল সমস্যা দেখা যাচ্ছে পরিকাঠামোয়। এক শিক্ষার্থী বলে, তাদের গ্রামে ঠিক করে নেটওয়ার্ক না পাওয়ার জন্য ক্লাসও মতন করা হয়ে ওঠে না, অপরদিকে, আর এক পড়ুয়া, মন্তব্য করে, স্কুলে অনলাইন ক্লাস খুব বেশি হয় না। যাওবা হয় ভালো ফোন না থাকার দরুন সেই ক্লাসও করা হয়ে ওঠে না। করোনা কালে স্কুল বন্ধ থাকায় হোয়াটসঅ্যাপ বা গুগোল মিটিং- এ নোটস পাঠিয়ে কোনরকম জোড়াতালি দিয়ে চলছে পঠন-পাঠন চালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা। ঝাড়গ্রামের এক পড়ুয়া বলে, হোয়াটসঅ্যাপ স্যার যা নোটস বা ছবি দেন, তা দেখেই খাতায় লিখতে হয়। এভাবেই চলছে ভার্চুয়াল স্কুল। তবে নেটওয়ার্ক ভালো থাকার কারণে শহরের পড়ুয়ারা এগিয়ে যাচ্ছে, গ্রামের ছেলে মেয়েরা পিছিয়ে পড়ছে তাদের থেকে; এই আশঙ্কায় চিন্তিত ঝারগ্রাম-এর অভিভাবকরা। তাদের অধিকাংশেরই মোবাইল না থাকা, এবং নেটওয়ার্ক না থাকার কারণেই কোনমতেই ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস করা সম্ভব হচ্ছে না; এমনই বক্তব্য পেশ করেছেন এক অভিভাবক।
করোনাকালে স্কুল-কলেজ বন্ধ। প্রায় দেড় বছর ধরে অনলাইনেই যাবতীয় পঠনপাঠন চলছে। কিন্তু এই পদ্ধতি কি আগামী দিনে বিকল্প হয়ে উঠতে পারে? এ নিয়ে যুক্তি, পাল্টা যুক্তি আছে। তবে ক্লাসরুম টিচিংয়ের বিকল্প যে আর কিছুই হতে পারে না, তা অবশ্য সব শিক্ষকই মানছেন। বিভিন্ন বেসরকারি স্কুল-কলেজের কর্তারাও ক্লাসরুমে শিক্ষাদানের পক্ষপাতী। তাঁরা চান, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই অনলাইন শিক্ষায় যেতে হয়েছে আমাদের। তবে এটি শিক্ষাদানের স্থায়ী বিকল্প হতে পারে না।
[contact-form][contact-field label=”Name” type=”name” required=”true” /][contact-field label=”Email” type=”email” required=”true” /][contact-field label=”Website” type=”url” /][contact-field label=”Message” type=”textarea” /][/contact-form]
করোনা পরিস্থিতিতে পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জোর দেওয়া হচ্ছে, অন্তর্বর্তী মূল্যায়ন-ওপর। তবে অনলাইন ক্লাসের মরীচিকা অতিক্রম করে আভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন কি করে করবেন শিক্ষকরা? এই বিষয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। শত ভেবেও কোন কুল কিনারা পাচ্ছেন না গ্রামের দুস্থ অভিভাবকরা।