কলকাতা: এবার কি তবে বিজেপি ছাড়ছেন তারকা বিধায়ক হিরন! অন্তত তেমনই ইঙ্গিত মিললে। বঙ্গ বিজেপির একাধিক বিধায়ক এর আগেই রাজ্য বিজেপির হোয়াটস আপ গ্রুপ ছেড়েছিলেন, একইভাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরও ছেড়ে দিয়েছেন রাজ্য বিজেপির হোযাটস আপ গ্রুপ। বুধবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন হিরন। বিজেপি বিধায়ক ও বঙ্গ বিজেপির হোয়াটস আপ গ্রুপ ছাড়লেন খড়গপুর (সদর) এর বিজেপি বিধায়ক। বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলিপ ঘোষের পাশাপাশি রাজ্য, জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তিনি।
এর আগেও বিধায়ক হওয়ার পর থেকেই দিলীপ ঘোষের সঙ্গে বিবাদে জড়ান হিরন, বুধবার সরাসরি গিয়ে হিরনের অভিযোগ, “বঙ্গ বিজেপিতে আমার কোনও গুরুত্ব নেই, সাংগাঠনিকভাবেও বঙ্গ বিজেপিতে কোনও দায়িত্ব নেই তাই অযথা ওই গ্রুপে থেকে কী করবো?” অভিষেক বন্দপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ এই অভিনেতাকে এক সময় যুব তৃণমূলের রাজ্য সহ- সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন, পরে, ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি হাওয়ায় বিজেপিতে যোগ দেন। পরে খড়গপুর (সদর) কেন্দ্র থেকে জিতে বিধায়ক হন, তবে ধীরে ধীরে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে দুরত্ব বাড়তে থাকে। এমনকী বঙ্গ বিজেপির কোনও কমিটিতেও স্থান হয়নি তার।
আরও খবর: হারিয়ে যাচ্ছে শীতের সার্কাস!
এবার হোয়াটসআপ গ্রুপ ছাড়লেন হিরন
হিরনের বক্তব্য, ” আমি তৃণমূল যুবতে ৭ বছর সহ সভাপতি ছিলাম, অথচ রাজ্যে আমাকে কোনও কমিটিতে রাখারই প্রয়োজন বোধ করেনি রাজ্য নেতৃত্ব। আমাকে কাজেই লাগায়নি দল। তাই রাজ্য বিজেপির গ্রুপ ছেড়েছি।” পাশাপাশি সরাসরি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধেও ‘গোষ্ঠীবাজি’র অভিযোগ তুলে হিরনের অভিযোগ, “খড়গপুরের বিধায়ক আমি, এই জেলারও, অথচ জেলা সভাপতি ইচ্ছাকৃতভাবে আমাকে বাদ দিয়ে সাংগাঠনিক মিটিং করেন, আমি এলাকার বাইরে থাকলে ঠিক সেই সময়েই জেলা মিটিং ডাকেন, যাতে আমি কিছু জানতে না পারি।
আরও খবর: নতুন বছরের আগে বেলপাহাড়ীতে পর্যটকদের ভিড়
পরেও আমাকে কিছু জানানোই হয় না। আর এই পুরোটাই হচ্ছে দিলীপ ঘোষের নির্দেশে। উনি এইভাবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব করছেন। বারবার জানিয়েও কোনও লাভ নেই। হয়ত হিরনকে বঙ্গ বিজেপিতে দরকার নেই।” তবে তিনি যে বিজেপি ছাড়ছেন না,তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তবে গোটা বিষয় যার বিরুদ্ধে হিরনের অভিযোগের আঙুল, সেই কেন্দ্রীয় বিজেপি সহ- সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, “আমাদের প্রায় ২০০-৩০০ গ্রুপ আছে, আমিও অনেক গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গিয়েছি। তবে উনি কেন গ্রুপ ছাড়লেন তার উত্তর জেলা সভাপতি দেবেন, আর বিধায়ক গ্রুপ কেন ছেড়েছেন সেটা বিরোধী দলনেতা বলতে পারবেন।”