“পূর্ব মেদিনীপুর”
কাঁথিতে শুরু দুয়ারে আহার
স্টাফ রিপোর্টার, পূর্ব মেদিনীপুর: পূর্ব মেদিনীপুর যুব তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে আজ থেকে কাঁথিতে শুরু হচ্ছে দুয়ারে আহার। এই কর্মসূচিতে প্রাথমিকভাবে কাঁথি পুরো এলাকার দেড় হাজার মানুষকে খাওয়ার বিতরণ করা হবে। পাশাপাশি করোনা আক্রান্ত পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে রান্না করা খাওয়ার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ঘোষণা করেছিলেন দুয়ারে সরকারের মত আহার ও পৌঁছে দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ক্রমে এবার জেলা তৃণমূল কংগ্রেস দুয়ারে আহার কর্মসূচী পালন করতে চলেছে। বুধবার সকাল ৯টায় কাঁথি র ক্যালট্যাক্স মোড়ে এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী অখিল গিরি। উপস্থিত থাকবেন জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি, কাঁথি পুর প্রশাসনিক মন্ডলীর সদস্য মামুদ হোসেন, রত্নদিপ মান্না প্রমুখ। ক্যাল্ট্যাক্স মোড় থেকেই খাওয়ার বিতরণ করা হবে। প্রথমদিন ১হাজার ৫০০জন মানুষের মধ্যে খাওয়ার বিতরণ করা হবে। করোনা আবহে যাদের উপার্জন বন্ধ তাদের খাওয়ার বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় যশ ঘূর্ণি ঝড়েও যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারাও খাওয়ার সংগ্রহ করতে পারবেন। খাওয়ার সংগ্রহের জন্যে কাঁথি পুরসভার ২১টি ওয়ার্ডে ইতিমধ্যে কুপন বিতরণের কাজ শেষ করেছে যুব তৃণমূল। জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন, “উপার্জন যাদের বন্ধ হয়ে গিয়েছে তাদের পাশাপাশি যারা যশ ঝড়েও ক্ষতি গ্রস্ত হয়েছেন তাদের মুখে অন্ন তুলে দেওয়ার কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দুয়ারে আহার কর্মসূচি আজ বাস্তব রূপ নিতে চলেছে।”
“ঝাড়গ্রাম”
লকডাউন সফল করতে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ
স্টাফ রিপোর্টার, ঝাড়গ্রাম: লকডাউনের বাধানিষেধে কিছুটা হ্রাস টানা হতে না হতেই মানুষের মধ্যে সতর্কতা অবলম্বন করার ক্ষেত্রে বেশ কিছুটা ঢিলেমি দেখা যাচ্ছে। যেখানে গোটা দেশ একপ্রকার হিমশিম খাচ্ছে এই ছোট্ট ভাইরাসের থেকে নিজের দেশকে বাঁচাতে সাথে মানুষকে যাতে না খেতে পেয়ে মারা না যেতে হয় সেদিকেও নজর রাখতে হচ্ছে সরকারকে। এক্ষেত্রে ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রাম থানার পুলিশ প্রতিনিয়ত এলাকায় নাকা চেকিং চালাচ্ছেন। কারণ করোনার এই দ্বিতীয় ঢেউতে এবার যথেষ্ট আক্রান্ত হয়েছে গ্রাম বাংলার মানুষজনও। ক্রমাগত বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রাম ব্লকের ডাহি এলাকায় এখনও সাধারণ মানুষের মধ্যে পূর্ণ সতর্কতা অবলম্বন করতে দেখা না গেলেও পুলিশ ক্রমশ সক্রিয়তা অবলম্বন করছেন তাদের সচেতনতা প্রচারে। এই সময়ে দাঁড়িয়েও যেসকল ব্যক্তিরা মাস্ক ছাড়া ঘর থেকে বাইরে বেরোচ্ছেন তাদের পুলিশ কর্মীদের মাধ্যমে সতর্ক করা হচ্ছে এবং মাস্ক না থাকলে মাস্ক দেওয়া ও হচ্ছে যাতে অন্তত তারা এটুকু বোঝেন, “মাস্কই একমাত্র বিকল্প ভরসা করোনার সঙ্গে লড়তে গেলে”। পুলিশ কর্মীদের মাধ্যমে করা হচ্ছে এলাকায় মাইকিং এবং যতই বাধানিষেধে রাশ টানা হোক না কেন, কারণ ছাড়াই বাইরে বের হলেই পড়ানো হচ্ছে পাঠ, পুলিশ কর্মীদের মারফত।
“পশ্চিমবঙ্গ”
সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী
শান্তনু দত্ত, কলকাতা ২ জুন, বুধবার নবান্নে বৈঠক ভার্চুয়ালি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হতাশা প্রকাশ করে তিনি এদিন বলেন, কোটি কোটি টাকা জলে যাচ্ছে। উম্পুন-এর স্মৃতি টেনে তিনি বলেন এত গাছ কাটা ভাঙলো, সেগুলোর কোনো হদিশ নেই! প্রতিবারই বাঁধ সারাই করা হয়; প্রতিবারই ভেঙে যায়। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ রুখতে প্রকৃতিই একমাত্র ভরসা। আরো বেশি করে ম্যানগ্রোভ গাছ লাগাতে হবে বলে বার্তা দেন মূখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও তিনি বলেন, সেচ দপ্তর খুব ভালো কাজ করছে। প্রতিবছরই সেচ দপ্তর বাঁধ তৈরি করছে। তবে টাকা ঠিক পন্থায় খরচ করতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ২৬ জুন ভরা কোটাল, তার আগেই সমস্ত বাঁধ মেরামতির জন্য তৎপর তিনি। ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্প কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছে বলে আশার আলো দেখিয়েছেন মমতা। তিনি আরও যোগ করেন, দীঘার জন্য পৃথক পরিকল্পনা করতে হবে। দীঘার সৌন্দর্যায়নের আরও জোর দিতে হবে। দীঘার পুনর্গঠন এর পরিকল্পনা করতে বলেন তিনি।