স্টাফ রিপোর্টার, ঝাড়গ্রাম:- ইয়াসের তান্ডবের ফলবশত ভেসে গিয়েছে মাইলের পর মাইল গ্রাম, ঘর হারিয়েছেন প্রচুর মানুষজন। এখন তাদের বাড়ি ঘর গুলির চিত্র দেখলে সেগুলিকে ধ্বংস-স্তুপ বললেও কম হিসেবে ব্যাখ্যায়িত করা হবে। ইতিমধ্যে ইয়াসের সেই তান্ডব লীলার দুদিন কাটলেও ঝাড়গ্রামে ক্রমশ বাড়ছে আশঙ্কা ও উদ্বেগ। ইয়াসের তেমন প্রভাব চোখে পড়েনি ঝাড়গ্রাম সহ রাজ্যের নানান জেলাগুলোতেও। দফায় দফায় বৃষ্টিপাত হলেও কার্যত তার মাত্রা ছিল যথেষ্টই কম। তবে ইয়াসের প্রভাবে ঝাড়খণ্ডের বেশ কিছু এলাকায় তুমুল বৃষ্টি হওয়ায় ঝাড়খণ্ডের গালুডি জলাধার থেকে সুবর্ণরেখা নদীতে ছাড়া হয় ৩ লক্ষ্য কিউসেক জল। ফলে সুবর্ণরেখা নদীর বেশ কিছু উপকূল সংলগ্ন এলাকার প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। প্রতি বছরই গালুডি জলাধার থেকে বেশি পরিমাণে জল ছাড়লে ঝাড়গ্রামের গােপীবল্লভপুর ১ ও ২ ব্লক , সাঁকরাইল এবং নয়াগ্রাম এই চারটি ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় ।ইতিমধ্যেই যেসকল নদী তীরবর্তী গ্রাম গুলিকে সতর্ক করা হয়েছে সেগুলি হলো আসনবনী,জানাঘাঁটি,
আলমপুর,আশুই, হাতিপাতা, মহাপাল, শালবনী, ভামাল সহ একাধিক গ্ৰাম। জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে ব্লক ও নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষজনকে ক্রমাগত সতর্কে থাকার জন্য মাইকিং করে প্রচারের পাশাপাশি রেসকিউ সেন্টারে নিয়ে আসা হয়েছে । তাঁদের সেখানেই থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আপাতত। এক্ষেত্রে গােপীবল্লভপুর দুই নম্বর ব্লকের বিডিও অর্ঘ্য ঘােষ কে জিজ্ঞাসাবাদ করায় তিনি বলেন, “আমরা গতকাল থেকেই নদীর তীরবর্তী যে এলাকা গুলি আছে, যেমন ভামাল, হাতিপাতা, মহাপাল-এর মানুষজনকে গিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। পুলিশকেও ইতিমধ্যেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে সেরকম হলে এলাকার মানুষজনকে উদ্ধার করে তাঁদের নিকটবর্তী স্কুলে নিয়ে যাওয়া হবে।প্রশাসনের তরফ থেকেও আমরা মাইকিং চালাচ্ছি ক্রমাগত যাতে কোনওপ্রকার ক্ষতির সম্মুখীনআমাদের না হতে হয়।” গালুডি জলাধার থেকে জল ছাড়া হলে সেই জল ঝাড়গ্রামের গােপীবল্লভপুরে এসে পৌঁছতে প্রায় ৮-৯ ঘন্টা সময় লাগে । যার ফলে সুবর্ণ রেখা নদীতে এদিন জলস্তর বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। নদী তীরবর্তী এলাকায় জোড় কদমে চলছে মাইকিং ও থানাগুলিকে অ্যালার্ট করা হয়েছে ।